চিত্তের অস্থিরতায়, বুক হাহাকার
না মেটানো মনের দাবীগুলো লাফিয়ে বেড়ায় দাম্ভিকতায়
কঠিন কিছু না অতি সাধারণ
তারপরও কেন যেন লাগে সংকোচ
মনে হয় চারপাশ, ভয়ানক হায়েনায় ঘেরা
মন আর চাহিদার ক্ষুধা-
শঙ্কা আর জড়তার শেকলে শৃঙ্খলিত।
সেই দিনের আশায়-
কবে যেন উতরে যাব সংকোচের ভূত ঝেড়ে
পূরণ হবে ইচ্ছে-স্বপ্নগুলো।
মিটিয়ে দেব মনের দাবীগুলো
মুক্ত হব সকল অস্থিরতা থেকে।


ইদানীং খুব চুরি করতে ইচ্ছে হয়
সরকারি মাল, চারপাশে যা আছে রাষ্ট্রীয়ত্বের নামে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস আর পানির বিলগুলো
কর্তৃপক্ষ আর সরকারী লোকদের বিশেষ স্থানে ঢুকাতে
বড্ড ইচ্ছে করে।
খাম্পাগুলো বেচে হ্যারিকেন কিনি
ব্যংকের টাকা লুট করি
- ইচ্ছে করে বিনা টিকিটে বাস, রেল আর বিমানে চড়ি
নকল টাকা ছাপাতে মন চায়
পারি না, সে সামর্থ কোথায়-এই অথর্বের
এখন খুব কালোবাজারি করতে ইচ্চে করে-
পারি না, সে যোগ্যতা কোথায়
কোনোদিন যে রাজনীতি করি নি
ছোটবেলায় বুঝি নি, তারুণ্যে ছিলাম ফুল আর কবিতায়
এখন এই অবেলায়
রাজনীতি থেকে যে ৫০০ গজ দূরে!


ইচ্ছে করে আগুন দিই- সংসদ আর বঙ্গভবনে
-বড় বড় শপিংমল, রাজপ্রাসাদ আর রেলগাড়িতে
বড় বড় ব্যাংক খুলি, টিভি চ্যানেল আর রেডিও চালু করি  কালো টাকায়
মন চায় জোড় গলায়- (চৌরাস্তা কিংবা টি.ভি.র টকশোতে)
নেতা-ফেতা, এম.পি. আর মন্ত্রীদের গাল দেই
জংলি আর অশ্রাব্য শব্দে পতিতালয়ের ভাষায়
পারি না!
সেই যোগ্যতা কোথায়?
কখনো যে নির্বাচনে দাঁড়াই নি
মেম্বার, চেয়ারম্যান, কমিশনার, মেয়র কিংবা সাংসদ
কখনো যে বগলে দাবাই নি কোনো পদ।


রুহুলের খবর জানেন?
কোন রুহুল?
নেতা
তাহলে একশত হাত দূরে থাকুন
বলেন কি তাকে চেনেন না?
দুইশত হাত দূরে-
মন্ত্রীর এপিএসের শ্যালক
পাঁচশত হাত দূরে থাকুন।
সভাপতি পদে আছেন
ভাই আমি তাহলে ৫০০ গজ দূরে আছি!