প্রথম দেখা হয়েছিল গেস্টরুমের সামনে
হল থেকে বের হচ্ছিলাম
তুমি বললে,এক্সকিউজ মি
ভাইয়া!
সাইমুন ভাইকে একটু ডেকে দিন না, ৩১০-এর
তাকিয়ে দেখি যুগল ফুলের সামনে আমি
প্রথমতো ভেবেছিলাম, দুই বান্ধবী
পরে জানা হলো, পরস্পরের কাজিন।
পরদিন আবারো দেখা হলো
গোধূলি রঙ যখন রাঙালো ক্যাম্পাস
আমি ছুটছি তখন মাগরিবের জামাত ধরতে..
তুমিই বললে সেদিন, হ্যালো ভাই, চিনতে পারছেন?
কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি, আমাকে আরো চমকে দিয়ে বললে,
গতকাল, ৩১০-এর কল!
মনে পড়ল। তখনই কেউ যখন "ফাহিমা" বলে ডাক দিল
তোমরা দুজনেই সেদিকে মুখ ফেরালে
আমি চলে আসি কিছু না বলে
কিছু না ভেবে, তখনও মনে আসে নি কোনো ভাবনা
সেন্ট্রাল মসজিদ থেকে বের হয়ে প্যারিস রোডে আসতে
আবারও দেখা হলো...
কী ব্যাপার ভাই? কিছু না বলেই তখন চলে গেলেন?
মানুষের তো একটা সৌজন্যবোধ থাকে।
খুবই লজ্জা পেলাম, আর তখনই তোমায় ভালো করে খেয়াল করি
হৃদয় মাঝে বেজে উঠে,
ওগো তুমি যে আমার!
মাথার ভিতর একটা পোকা ঢুকে গেল
সারারাত ঘুম হয় নি
শুধুই তোমার চেহারা আমার চোখে ভেসে থাকলো
মনের মাধুরী মিশিয়ে, প্রতিটি বর্ণে রঙ লাগিয়ে
শব্দের খেলায় জট লাগিয়ে
সাহিত্যিকের পেটে টোকা দিয়ে
একটা পত্র লিখলাম। অপেক্ষা, কখন আবার দেখা হবে...
কয়েকদিন পর, এক সন্ধ্যায়, সাবাস বাংলাদেশ মাঠে
তোমার কাজিনের সাথে দেখা।
জানতে চাইলাম তোমার কথা
ওকে জানালাম, তোমার জন্য একটা পত্র আছে আমার কাছে
আমার কাছ থেকে সে চেয়ে নিয়ে-
একটু মুচকি হেসে বলল, ওম্মে সালামার কাছে পৌছে দেবো আমি।
ক্লান্ত মনে চমকে ওঠে বললাম, কী? ফাহিমা তবে কার নাম?
আমি! আবারো ওর মুখে স্মিত হাসি। সবজান্তা ভঙ্গিতে বলে উঠে. আপনি কি তাহলে ফাহিমার নামে এই চিঠি লিখেছেন?
আমি ফেরত চাইতে বলল, কোনো অসুবিধা নেই, আমি ব্যাপারটা ক্লিয়ার করে দেবো। কাল বিকেল ৫টায় আপনি ওকে কল করবেন।
নাম তো হলো জানা
ওম্মে সালামা!
২৪০ মন্নুজান হল।
সেই থেকে শুরু হলো
৩০৭, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সাথে
২৪০, মন্নুজানের কল।
মনে পড়ে কি ওম্মে সালামা।
নাকি তুমি এখন স্মৃতির খাতায় লেখা এক নাম।


.....................................................................
দায়সারা: এটা উদ্ভট কল্পনার ফসল নয়, সুতরাং কারো জীবনের সাথে মিলে গেল, কাকতালীয় না ভেবে মনে করবেন, আপনার জীবন থেকেই কনসেপ্টটা চুরি করা।