কাল তুলেছে- হাতটা, তোমায়, আজ তুললো পা,
পরশু হয়ত ঝোলাবে তোমায়-, 'তোমার বিধাতা' ।
        যা কিনা-, জীবন বোনার ঝোঁকে,
       দেখছো সবই নিজের'ই দুই চোখে;
থাকছো চুপ; 'নারী বলে'ই- খাচ্ছো ঘা’য়ের ঘা !
আমি বলি ‘দূর্গা তুমি’।  এটাই কি- বলে তা ?


জানো নারী-, এই জগতে অন্যায় সয় কারা ?
আমার মতে- অশিক্ষিত নয়; দুর্বল ঠিক যারা ।
        বলেছে কে? দুর্বল তুমি খুব!
        এক নিমেষে- করতে তাই চুপ!
ভাঙতে হবে, নিজের হাতে- তৈরি যত ধারা;
নইলে তুমি- ব্যথার ঘা'য়ে এমনই পড়বে মারা...।


দেখতে তো পাও- কেমনে তারা অসুর রূপকধারী !
মধ্যরাতে মারতে যে তাই- হাত কাঁপে না কার'ই ।
     ওই যে তোমার পরনে থাকা- শাড়ি,
     এক নিমেষেই- ঝোলাতে পারে কাড়ি;
পার্ টা তুমি তখনই পাবে-; 'দূর্গা হলে তার'ই'।
আজকে তাই- কণ্ঠে আসুক! ‘আমরা সবই পারি’ ।


জাগো তাই- নিজের জন্যে, বাঁচতে হলে তোমায়,
থামলে যে আর চলবে না! হঠাৎ- দাঁড়ি, কমায় ।
        তুমিই জাগো! দেখবে তোমার করণে-
         বিছিয়ে দিচ্ছে- হাজার ফুল চরণে;
অন্যায় তবে- সইবে না! যেটা- তোমাকে দমায় !
যেটা তোমার নিজেকেও- পারবে না রাখতে ক্ষমায় ।