আমার প্রথম কবিতার বয়স –
এইতো প্রায় একুশ বৎসর পেরিয়ে
তার ঠিক দু বৎসর পরেই আমার প্রথম পাঠকের জন্ম হয়েছিল
আমার কবিতার পাঠক ।
আমার লেখা প্রতিটি কবিতাই সে গভীর মনোযোগে পড়তো
তারপর একগাল হেসে আমাকে বলতো- অনেক ভাল হয়েছে
জানিনা সেদিনের কবিতাগুলো আসলে কবিতা হতো কিনা
তারপরেও আবার লিখতাম ; ওই একটা হাসি দেখব বলে ।


তারপরতো কত বসন্ত আমরা একসাথে পার করেছি
বর্ষার জলে এক সাথে ভিজেছি – আম কুড়িয়েছি
কতনা খেলায় মেতে উঠতাম ; সেগুলি কি তোমার মনে আছে ?  
তোমাদের সেই কাঁচামিঠা আম গাছের তলে পুতুল খেলায় মেতে উঠতাম
পুতুলের বিয়ে হতো – রান্নাও হতো  
কলার পাতায় পুতুল বিয়ের দাওয়াত খেতাম
কি আনন্দময় ছিল সেদিনগুলি
আমি কিছুতেই সেদিনগুলির কথা ভুলতে পারিনা
হয়তো তুমিও সে দিনগুলির কথা মনে করে হাসবে ।


আচ্ছা তুমি কি বলতে পার-
তোমাদের সেই কাঁচামিঠা আম গাছটা কি এখনো আছে ?
এখনো তো বৃষ্টি হয় তুমি কি এখনো বৃষ্টির জলে গা ভেজাও
আগের সে অনুভতি কি স্পর্শ করে ?
খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার ।
ইচ্ছে করে সে শৈশবে ফিরে যেতে
যে শৈশব তোমার আমার আনন্দময় এক সোনালী শৈশব
তোমারও কি মন চায় ? যদি না চায় তাহলে থাক
যদি কখনো সময় হয় সেই আম গাছের তলে গিয়ে দাঁড়াব
তারপর এক মুহূর্তের জন্য হলেও ফিরে যাব-
তোমার আর আমার স্মৃতিতে ঘেরা সেই অতীতে
যে অতীত শুধু তোমার আর আমার ।


১৩/০৮/১৭