প্রতিটি কাক ডাকা ভোরে, আমার ভীষন ইচ্ছে করে
প্রেয়সী’র তৃপ্তিময় ঘুম ভেঙ্গে দিয়ে, বসে থাকি দূরে;
আর চোখ মেলে দেখি সব, কান পেতে শুনি
আলসে-আধা-ঘুম চোখে, কত কথা বলে যায় বিরক্তিম সূরে।

চলতি পথে হোক, ছায়াময় গাছের তলায়
সময় গড়িয়ে যায় কোন কথা না বলায়;
আমার ভীষণ ইচ্ছে করে, গ্রামেতে ঘুরে ঘুরে
রেললাইন ধরে হাটি, লুকোচুরি খেলে হোক সন্ধ্যা;
ফিতে বাধা চুলগুলো বাতাসেতে এলোমেলো
ফের আমি বেধে দিয়ে গুজে দেই রজনীগন্ধা।

পা ঝুলিয়ে দু’জন মোরা, সাকোর উপর পাশাপাশি
তুমুল বৃষ্টির শব্দে নিশ্চুপ, ছোট্ট ছাতায় ঠাসাঠাসি
আমার ভীষণ ইচ্ছে করে, স্কুটি’তে ঘুরে বেড়াই;
আড় চোখে সব দেখছে দেখুক, ওড়না উড়ে যাচ্ছে গেলো
পরোয়া কে করছে থোরাই।

চলে যাই বহু দূর, অজানা কোথাও
কোলাহল যেখা নেই প্রকৃতি অবিরাম;
রাগে-অনুরাগে হোক কথাগুলো কাটাকাটি
অগোছালো চুলে হাত, ভালোবাসা এরই নাম।

সন্ধ্যা’র মাঠে ফুসকার ঝালে, আখি দু’টি তার পূর্ণ জলে
নির্বিকারে হোক বেসামাল, দাড়ায়ে আমি বিহুবল;
আনমনেতে গুনগুন করা, হাতের পরে হাত রেখে তাই
পূর্নিমা রাত জোছনা মেখে, হাটছি দু’জন অম্বরী তল।

আকাশে করিলে মেঘ, হৃদয়েতে জাগে বেগ
আমার ভীষণ ইচ্ছে করে তখন;
বসে থাকি অপলক মুখে কারো কথা নেই
প্রশ্বাসে উঠছে বুক; একাকার দু’টি মন।

চিতকার করে নয়, কানে কানে বলি শুধু “নবনিতা”
ভালোবাসা বেসামাল তোমার জন্য এমন
বেসেছিল লিওনার্দো মোনালিসা যেমন, আর
যেমন করে তুমি বেসেছো রবী’র কবিতা।
KKB-20.12.2014