অভিলাসী কৃষ্ণকেশী স্বপ্নবাসী
রাই বিলাসী’র চঞ্চলী মন মুখখানী ভার!


কার কারনে হয়গো তোমার গনিতে ভূল
তেল ছাড়া চুল, হৃদয় আকুল;
উপোস করো কার লাগি হে
ঘুম নাহি পায় গভীর রাতের নিবিরেতে;
কার তরেই বা নষ্ট করো মূল্যবান এ সময় তুমি
ধাক্কাটি পাও অসময়ে হৃদয় মাঝে;
এ জ্বালাতন বইছো কেন, কার তরেই বা বলছো এমন
শরীর ও মন সইছে না আর।


কার কারনে আনে-বনে চড়ছো পাহাড়
না বুঝে ভার পুকুরে কার দিচ্ছো সাতার;
কার আশাতেই সকাল বেলা ছুটছো মেলা
খালি পা’এ গা-এ গা-এ;
চুপিসারে ঝোপের ধারে বলছো কথা কাহার সাথে
কাহার বক্ষে রাখিতে চাও নিজের মাথা;
কাহার পানে হাতটি বাড়াও, বসিতে চাও ছত্র ছায়ায়
কাহার পানে বলে বেড়াও, তোমার মনের গোপন ব্যাথা।


কার বিরহে সকাল বিকাল তোমার এ হাল
শুনছো বকা মা’এর মুখে বাবার শাষন কাহার তরে;
কার তরেই বা লোক হাসিয়ে নাও ভাসিয়ে
বসে থাকো নদীর পাড়ে একলা নির্জন;  
কার লাগী বা না বেধে পা
একলাটি মন বদ্ধ ঘড়ে করছো ভজন;
যার লাগি তোর এত ব্যাথা
সেই সখা কি শুনছে তোমার ভীষন কষ্টের এমন রোদন?


তোর কি জানা! না অজানা
কি বিশাল এই জগত সংসার;
না খেয়ে মন রাত্রী যাপন
অকারনেই হৃদয় যখম;
অকারনে বই না পড়া প্রলাপ করা
হৃদয় হারা না চোখে ঘুম যাহার তরে;
না দেখিলো মুখটি কেহ
না শুনিলো “চন্ডীচরন” এ বিদঘুটে নামটি আবার।


এ সব-ই তোর নিদ্রা বিলাপ
করছো প্রলাপ পাচ্ছো ব্যাথা ঘুমের ঘোরে;
এ জগতে তুমি কাহার কে বা তোমার
কার তরে বা উদাসী হও কোন বিরহে;
শেষ বেলাতে চাইছো যেতে ঐ পাড়েতে
তার লাগি যে দেয় না ধরা দিন আলোতে!
তাহার তরেই ছুটছো আবার পরপারে
না পাওয়া সে হাতটি ধরে, রজনীর এই শেষ প্রহরে!


এ জীবন তোর ঈশ্বরী দান
করিস না সাংগ তাহার তরে;
যে কি না তোর বাস্তবে নয়
স্বপ্নলোকের মাঝে ঘুড়ে;
কষ্ট যতো আছে তোমার বুকের মাঝে
সব না চেপে বল না কিছু বৈশাখী ঐ বৃষ্টি ঝড়ে;
নিজের মতো হয়না কিছুই, যায়না পাওয়া দখিন হাওয়া
যখন তখন নিজের করে একান্তরে।

এসব ভূলে হৃদয় খুলে
ভাবনাকে তোর বশ করে নে
কি হবে লাভ বিষর্জনে তোর এ জীবন
সেই অজানা মোহের পরে।
কেকেবি-২৪.০৩.২০১৬।