মনে পড়ে সেই ছোট্ট বেলা-
হাটি হাটি পা সারা বেলা।

মনে পড়ে সেই সাথীরা সব
কত হাসি-খুসি, কত মাখা-মাখি
কত হুড়োহুড়ি, কত বাগান ঘুরি
খেলেছি পুতুল, মেখেছি ধূলো
হয়েছে সোরগোল, করেছি কলোরব।

কি মজার সেই কিশোর বেলা-
দৌড়ে দৌড়ে পথ চলা
নিত্যদিনের স্কুল রে ভাই
কে যাবি কে যাবি, আয় ছুটে আয়।

কত দৌড়-ঝাপ, কত দুষ্টুমি
কত না সাতার ছোট্ট পুকুরে;
কত না বকা মায়ের মুখের
মধুর ঠেকতো শাষনটি তার;
রতনের ধাওয়া, আম পেরে খাওয়া
ছায়াহীন রোদেলা তপ্ত দুপুরে।

মনে পড়ে সেই –
শীতের সকাল, ঠান্ডা বেহাল, চাদরে জড়ানো হাটা
কুয়াশায় ঘেরা ধানের ক্ষেতে, ছিলনা বারন হাড়িয়ে যেতে
শষ্য বোঝাই বড় খাল ধরে, বয়ে যেত কিছু তরি;
সারাদিন খেলা, বেড়ে যায় বেলা, উড়ে যায় চীল
তবু আমি নাহি নড়ি।

মনে পড়ে সেই –
হাড়িয়েছি খেই টিনের চালেতে মোরা
উড়িয়েছি ঘুড়ি, নেই তার জুড়ি
রোপন করেছি ফুল;
লিচুর বাগানে সঙ্গপনে কুড়িয়েছি যত
ঝড়ের বাতাসে ঝড়িয়া পরেছে কূল।

মনে পড়ে সেই -
হরিয়ালি গান, টিপু সুলতান, পাড়ার মঞ্চে নাটক
মিথ্যে কথায় ঘর পালানো, জেগে কাটে রাত
গায়ের জামার বোতাম খোলা, কথা না বলা, হৃদয়ে দোলা;
দুলিয়ে বেনি চলতো জেনি খোপায় বেলি ফুল
হুল্লোরে দিন, কত যে রঙ্গীন, কেটেছে সব বৈশাখী মেলা।

মনে পড়ে কত, ভাবি শত শত বার
বুকে বাজে বীন, তারুন্যের দিন, ছিল কি রঙ্গীন
আসবে কি ফিরে আবার!!

কেকেবি-০৫.০৩.২০১৬।