“দাত” থাকিতে বুঝলি না মর্ম, বুঝলি ঝরার পর
“ইশারাতে” যায় কি বলা, যাহা বলে গলার স্বর!
“নাক”টি যদি না থাকিতো, কি করে পাইতে ঘ্রান
“জিহ্বাটা” না থাকলে কারো, কেমনে বুঝতে মান!

“তর্জনীটা” ভীষন দামী, বলতে কথা গরম গরম
যদি না থাকতো “বৃদ্ধাঙ্গুলি”, কেমন করে ধরতে কলম!
“মধ্যমাও” দাড়ায় তখন, যখন মেজাজ বেজায় চরম
“পাঞ্জা” ছাড়া হাতখানি যার, সে কি করে মাখায় মলম!
পরিনয়ে “অনামিকা”, কম দামী নয় “কনিষ্ঠা”
“বামহাতটিরও” মহা-মূল্য, পরিস্কারে শ্রেষ্ঠা।

“ঠোট” কাটা লোক দেখলে বুঝি
“ঠোট” দুটি যে কত দামী;
“চুম্বন” করতে “ঠোট” শুধু নয়
“ঠোটকে” মুখের দ্বার বলা হয়;
“ঠোট” দিয়ে হয় ভালোবাসা
“ঠোটই” আবার সর্বনাশা;
পোষাক পরিবর্তনেও পাই
“ঠোটের” বাহাদূরী।

“পা” হারানো কাউকে দেখে, বুঝতে পারি “পা” এর কদর
“কান” দুটি না দিলে খোদা, হয়তো দেখতে লাগতো ভোদর।
“নখ” যদি না থাকতো সবার, চুলকালে “গা” কি করতে ভাই
“আঙ্গুলগুলো” লাগত কানা, যেমন চুলকায় ষাড়-গরু গাই।

“চোখ” দু’টি না দিলে মোদের, লাগতো বুঝি সবই আধার
“চোখের” উপর “ভূরু” দিয়ে, বাড়িয়ে দিলো বদন বাহার;
“চোখ” আছেতো দেখছি সবই, কোনটা ভালো কোনটা মেকি
“চোখের পাতা” না থাকিলে, ঘুম হতোকি কারো আবার!!

কোন অঙ্গের নাইকো জুরি
কি “মাথার চুল” কি বা “চর্ম”;
থাকিতে না বোঝে সবাই
কি দাম ছিল কি বা মর্ম;
যতনেতে রতন মেলে
সবল থাকতে কর যতন;
হারিয়ে সব বুঝে কি লাভ
গভীর হয়গো মনের বেদন।
কেকেবি-০৪.০৪-২০১৬।