ওরে মোর বাউন্ডুলে ঝাকরা চুলের চন্ডীচরন!
তোর কারনে তেল ছাড়া চুল
অঙ্কেতে ভূল, হৃদয় ব্যাকুল;
হয়না খাওয়া তোরই জন্যে
নেই চোখে ঘুম, রাত্রি নিঝুম;
যখন তখন নেই সারা নেই, তোর কারনেই
ভীষণ যখম হৃদয় মাঝে;
তোর কারনেই হয়না পড়া, নকল করা
পরীক্ষাতে বসে না মন।


ও আমার রাসবিহারী, খানিক দাড়ি
হৃদয় কথা চেপে রাখা চন্ডীচরন!
তোর কারনে রাত বিনে ঘুম, বাকুম বাকুম
বকুনী শোনা মা’এর মুখে;
তোর তরে মোর নাও ভাষানো
তোকে ছাড়া পাই না এ মন চড়তে তরী
বসে থাকি নদীর ধারে;
তুই বিনে মোর পা চলে না, অন্ধ নয়ন
মুখ খোলে না বিনা কারন;
এ জ্বালাতন হয় যদি মোর
তবু কি তোর হয় না করুন
এই আমারে করতে স্মরন?


ও আমার হৃদয় চোরা
জোড়া জোড়া কবিতা বলা চন্ডীচরন!
ইচ্ছে করে কইতে তোরে, মনের কথা হাতটি ধরে
পাই না রাখতে মাথাটি তোর বক্ষ মাঝে;
তুই কি জানিস! কি করে রই!
হাজার চোখের আস্ফালনের মস্ত ভীড়ে সবার সঙ্গে?
পাই না যে তোর হাতের ছোয়া, ছত্র ছায়া লাগে মায়া
অশ্রু ঝরে সকাল সাঝে;
অন্ত:পুরে এতো ব্যাথা, কি করে কই
কোনটি খাটো, বোধ নাহি পাই কোন অংগে।


ওহে মধ্যরাতের কল্পনাতে উকি মেরে
হরন করা হৃদয় আমার চন্ডীচরন!
কি করে কই, আসে না সই
নিজের খবর পাই না ঘড়ে
বক্ষ মাঝে উঠছে কাপন;
উঠছে ধ্বনি পাড়ার লোকের মুখে মুখে
পরিনয়ের খবর শুনে;
মাহাজনের লম্পট ছেলে কাটছে জেলে
পচে গলে পুরো জীবন;
পিতা আমার তারই সঙ্গে, মধুর রঙ্গে
বেধে দিল সুখের মরণ।


ও আমার মন ভোলানো সুখের হরিণ
রঙ্গীন করা স্বপ্ন আমার চন্ডীচরন!
শেষ বেলাতে মূর্ছনাতে, হাড়িয়ে না যাই ঐ পাড়েতে
সাধ যে ছিল করবি বরন;
আমি যে তোর রাই বিলাসী
ধূসরী মন রয় না ঘরে, তোর বিরহে হই উদাসী;
আর কত রাত, না খেয়ে ভাত
অকাতরে করবো প্রলাপ তোরই তরে;
আয় ছুটে আয় আর একটি বার
চাইবো না আর হাতটি ধরি
যাত্রা করি এই রজনীর শেষ প্রহরে।


ও আমার অনেক সাধের রাজার বেশী
রাজ্য বিহীন চন্ডীচরন!
এ জীবনে, ক্ষনে ক্ষনে
করতে আপন চাইলো তোরে এ অন্তর মন;
চাইলো তোরে, একান্তরে নিজের করে
মিটলো না সাধ রইলো গোপন;
তোর বুঝি আর হয়নি সময়
শুনতে প্রলাপ পায়নি ছুতে সে পাষান মন
শেষ বেলাতে হলো তাহাই, ভাবছি যাহা
তোর কারনেই আমার মরণ।
কেকেবি-২১.০৩.২০১৬।