পবিত্র হৎপিন্ড
-কিশোর কারুণিক


থিচ কুয়াং দুক
আপনার পবিত্র হৎপিন্ডের কাছে
শ্রদ্ধায় করি মাথানত ।
আত্মযংজমী মানুষ হয়েও
আন্যায়ের বিরুদ্ধে,
আপনার প্রতিবাদের ভাষা
কিংবদন্তি হয়ে থাকবে ।
আপনি যে সত্যিকার ভাবে
ঈশ্বরের ভক্ত ছিলেন
মানবতার পূজারি ছিলেন
সুন্দরের উপাষক ছিলেন
তা প্রমান করে
আপনার পবিত্র হৎপিন্ড ।
সাম্রাজ্যবাদেও মদদপুষ্ট
ভিয়েতনামের কলঙক জনক প্রধানমন্ত্রী
সৈরাচারী নিপিড়নের বিরুদ্ধে
আপনি আপনার মতো করে প্রতিবাদ করেছিলেন
হাতে করেন নি আগ্নেয়াস্ত্র
গ্রহন করেন নি হিংসা
১৯৬৩ এর ১১ জুন
৭৩ বয়সি থিচ কুয়াং দুক
নিজের শরীর অগ্নিতে উৎস্বর্গ করলেন
করলেন না একটু আহা!
কোন আহাজারি, আত্মচিৎকার
ধরনী কেঁপে উঠলো,
সারা বিশ্ব অবাক হলো
সারা বিশ্ব কষ্ট পেল ।
পবিত্র অগ্নিকুন্ডলীর ধোয়ায়
হতবাক হলো আকাশ বাতাস
শিরোনাম হলো সায়গম শরীর
দিগন্ত থেকে দিগন্তেছড়িয়ে পড়লো
পবিত্র আত্মার মর্মধ্বনি;
অবশেষে পতন হলো দানবের
পতন হলো দানবের সৈরাচারিতা।
থিচ কুয়াং দুক
আপনার দেহ উৎস্বর্গের ানেক পড়ে
আমার এই পৃথিবীতে আসা
তারও অনেক পড়ে আপনাকে হলো জানা
আমার ঘুমন্ত মানবতাবোধ
আমার ঘুমন্ত চেতনাকে
জাগিয়ে দিলো আপনার কীার্ত কর্ম
সুন্দর পৃথিবি ছেড়ে কেউ যেতে চায় না
তবু যেতে হয়,
আপনার যাওয়া ছিল
স্বমহিমায়, স্বগতিতে
স্বকীর্তিতে হয়ে থাকবে চিরভাস্বর
থিচ কুয়াং দুক
আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষণ করি
অসময়ে যারা আপনার দেহ উৎস্বর্গের জন্য দায়ী
আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করি
ঐ সাম্রাজ্যবাদ অপশক্তির
আর
আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আপনাকে
আপনার পবিত্র হৎপিন্ডের প্রতি
আমার এই কবিতাঞ্জলী