‘এক কঠিন নাদান তুমি করেছ কি ভুল
কর্মযজ্ঞ ফেলি কাব্যে ব্যাকুল-
সকলি দিবস করিয়াছ পার কর্ম বিফল-
দোয়াতের জলে শুধু চষে গেছো মণ্ডের তল!  
দেখ, সংসার যাবে খষে
যদি শুধু কাব্যতে থাকো বসে-
কর্মবিনা অন্নহীনা হয়ে বেঁচে রবে চিরকাল?
সপাটে কাগজ ফেলি এখুনি যাও চলি,
কাব্য তোমায় জোগাবে কি ধান-চাল?
শত সহস্র কাব্য রচিয়াছে কত কবিকূল
তাহে কতজনে বনিয়াছে রবীন্দ্র-নজরুল?’-


এমনি কঠিন বাণী-ধিক্কার অনর্গল
চাবুকের মত চমকিয়া শুধু ফাটায় কর্ণদল
প্রতিদিন প্রতিক্ষণে অন্দরে আর কর্মস্থল,
তবু কাব্যসুধাপান লোভে আত্মা অবিচল
রহে। ‘কর্ম সে তো জোগায় অন্ন,
জঠরের জ্বালা করে বিপন্ন
অন্তরের অনল নিভেনা তো ধান-চালে’-
একদিন নতমুখে কহিলাম কালে।  
কর্মপ্রভু শুনিলেন কথা, কহিলেন, ‘ওসব ফেলো,
অন্তরজ্বালা মুছিবার লাগি দিনভোর মদ গেলো।‘  
উথিল গোপন হৃদয়ের ব্যাথা দাউ দাউ করে জ্বলি
কর্মের তরে যাবো কি সকল ভুলি?
কর্মের লাগি ছুটেছি জনমভোর
জুটেছে অন্ন, মিলেছে স্বর্ণ তবু মুছি নাই লোর-
এমন ধরণ বহু আছে এই ভবে;
কাব্যে যারা সুধা লয় তারা কাব্য রচেই যাবে!


  -- রচনা, ১ জুন ২০১৭