বহু কবির বহু লেখা পড়ে ভাবিতেছি অন্তরে অন্তরে
এতো জ্ঞান, এতো বুদ্ধি, এতো ভাবনাগুলো
কোথা থেকে এলো!
যখন আমি লিখতে যাই শব্দ খুঁজে না পাই
মাথাখানি লাগে এলোমেলো।
ভাবনাও পাইনা মনের মত
তাই ক্ষণিকেই লেখা ফেলে বলি আজ থাক আপাতত।
তবে কি মাথায় আমার শব্দ কম
নাকি লিখিবার নাই দম?
চর্চার অভাব? নাকি অস্থির মন
শব্দগুলো খেয়ে ফেলে প্রতিক্ষণ?
পুনর্বার যখন বসি হাত করে কষাকষি
লেখা কিছু হয় অদ্ভুত!  
লিখলেই লেখা হয় তবে মন সায় না দেয়
লেখার মান নিয়ে হয় খুঁতখুঁত।
লেখা ফেলে তাই পালাই পুনরায়
এভাবেই চলে কিছুদিন।
দেখি একদিন ভিখারি জনৈক রোষে ভরা চোখ
লাঠির উপর দেহখানি ক্ষীণ
করিয়াছে ভর, চলিয়াছে ঘর হতে ঘর
ভগ্ন মুখখানি সমান করিয়াছে বিড়বিড়
বহু কষ্ট করে তাহার ভগ্নস্বর শুনিবার তরে
কর্ণদ্বয় খুলিয়াছি ধীর।
তাহার কন্ঠ শুনে চমকিল মন ক্ষণে ক্ষণে
প্রলাপে তাঁহার বেজেছিল সে কি উক্তি-
‘ভিক্ষা দিলে ছাই সেথা কোন ক্ষেদ নাই
ভস্মে আমার নেই কোন অভক্তি।
হে গৃহস্থ প্রভু, ভস্ম দিয়ে তবু
দানের স্বভাব বাড়ুক ধীরে ধীরে
ছাই দিয়ে আজি ধন্য, তবে একদিন দিবে অন্ন
যদিগো তোমার দানের স্বভাব গড়ে।‘
সম্বিৎ ফিরে পাই ভাবনা আবার ধায়
কবিতার মান হোক না গো নিকৃষ্ট;
যদি লেখার স্বভাব বাড়ে সময়ের দায়ভারে
কবিতার মান’এ হবো একদিন তুষ্ট।