চমকে এসে আলতো হেসে রুধিল সে পথ সমুখে বসে,
কুসুমের হাত বাড়িয়ে সপাৎ হাতখানি মোর বাঁধিল কষে,
ফুলিয়ে অধর আদেশিল মোর দ্বিধাহীন স্বরে আদরে আদরে-
‘আজি প্রতিক্ষণ রাঙাব দু’জন, আজ দিনভোর র’বে তুমি ঘরে।  
পরিপাটি সাজে নাহি যাবে কাজে, কেন রেখে যাও রোজ রোজ?
আজ থেকে যাও আমাকে দোলাও, একসাথে সারিব যে ভোজ।‘


চোখ পানে চাহি সুখে অবগাহি ক্ষণিকের তরে নিয়তিরে ভুলি,
প্রেমকোষ খুলি’ প্রিতিরাশ ঢালি- বিমোহিত প্রাণে শত দুলাদুলি-
ঝরঝর ঝরে দু’টি গালভরে স্নিগ্ধ হাসির কলরোল দলে,
অধরে অধরে পরশে পরশে শরীর কাননে আবেগেরা খেলে।
এমনি সু-ক্ষণে বেহালার তানে ধ্বনিল অধুনা কথনের কল-
কর্মবিধাতা শুধিলেন, ‘কোথা? কর্মপ্রভুরে দিও নাকো ছল।‘


হাসি স্ফীত ক্ষীণ হলো দ্রুত, বিমোহিত প্রাণ হলো অবগত-
নিয়তির বেশ রুক্ষ বিশেষ; জীবিকার পা’য়ে সদা মাথানত।
প্রসারিত আঁখি বিষাদে ঢাকি’ ধরিলাম পথ ললাটে চুমি’
ব্যথিত এ মন- ক্লিষ্ট চরণ, ক্ষণেক আগায় ক্ষণেক থামি’।
তীব্র বিরাগে শম্বুক বেগে জীবিকালয়ে এলাম শেষে,
ব্যাঙ্গ হেসে মধ্যাহ্ন আসে, প্রিয়তমা মোর নয়নে ভাসে!


--রচনাকাল, ২৪ মে ২০১৭