জীবনের সেই এক ধারা-
যেন মৌসুমের শ্রাবণধারা;
কখনো অতিবৃষ্টি, কখনো খরা,
কখনো বানের জলে দিশেহারা!
কখনো ঝড়, ঝড়ো হাওয়া-
কড়ই’র ডাল-হাড় ভেঙে পড়া!
কখনো ঝরে অবিরাম-ক্রন্দন,
পাহাড়-কৃষ্ণ মেঘেরা কখন
ক্ষণিকের তরে খোলে বাতায়ন,
স্মিত হেসে সূর্যকিরণ
আঁধারেতে দেয় আলো-বিনোদন!
কখনো আবার পড়ে শিলা-শক্ত দানা,
তবে শুভ্র! শীতল মুক্তা কণা-  
পরশে তাঁহার জুড়ায় দেহখানা!


কেঁদে কেঁদে শ্রাবণ আসে-
ফসলের মাঠে কৃষক হাসে,
বর্ষণে বর্ষণে ভূমি হয় সিক্ত-
ফসলের ডগা বাড়ে, হয় পোক্ত।  
শ্রাবণ হঠাত জোরে কাঁদে
সেই কৃষক পড়ে ফাঁদে!
ডোবে পোক্ত ধান-
ভাসায় কৃষকের প্রাণ,
ভাসে স্বপ্ন, ভাসে সব, তবু পুনর্বার
অপেক্ষায় থাকে বরষার!


শ্রাবণধারার মত জীব
কেঁদে কেঁদে হয় পার্থিব।
ক্ষণিক কিরণসম আলোর আশা,
নবীন আশায় কৃষকের হাসা,  
শুভ্র শীতল শিলার পরশ-
বাঁধে মায়াডোরে, বুনে স্বপ্ন সরস!
শ্রাবণধারার মত জীব যায় কেঁদে,
জীবাত্মা তবু যতনে সাধে-
‘হোক ঘনমেঘ-ঝড়-আঁধার
আসুক বাণ, ভাসুক দু’ধার-
তবুও জীবন যেন আসে পুনর্বার’-
কৃষকের অপেক্ষা সেই বরষার!


    -- রচনা, ১৮ জুন ২০১৭।