কাব্য লিখে এই আসরে শতেক কবি ধন্য;
কবিতা যে জুড়ায় পরাণ, যোগায় নাকো অন্ন।
সকল লেখায় মন লাগেনা, কিছু অতীব রুক্ষ,
আবার কারো লেখা দেখেই ভরে ওঠে বক্ষ।
কিছু কাব্য দীর্ঘ অতি, কিছু আবার অধিক খাটো-
কেমন পোশাক পরেন কবি -লম্বা নাকি আঁটসাঁট?
মাঝ-পোশাকে লাগে ভাল, লম্বা- সে তো ঢুলঢুলা,
অধিক খাটো পোশাকে ভাই শরীর দেখায় তুলতুলা।
কেউ বা লেখেন সরল-সোজা, কেউ বা লেখেন ব্যঙ্গ,
কেউ বা আবার ছন্দমিলে দেখান লেখার রঙ্গ!
কিছু কবি মাত্রাতেই খুঁজে ফেরেন অন্তমিল,
কেউ বা আবার গদ্য লিখেই পদ্য বলে মারেন ঢিল।
কিছু কবি কাব্য লিখে পাঠক খুঁজে হয়রান,
কেউ বা আবার নামের জোরেই গেয়ে থাকেন জয়গান।
হেথায় কেহ সনেট লেখেন, কেউ বা লেখেন লিমেরিক,
কেউ বা প্রেমের কাব্য লিখে হয়ে গেছেন রোমান্টিক।
হেথায় দেখি কবিগণের হরেক রকম টাইটেল,
হরেক রকম কাব্য লিখে ভরিয়ে দেন এ বাইবেল।
কাব্য হেথায় শতশত নেই পাঠকের সন্ধান
কবিগণই পাঠক রে ভাই এই আসরের ময়দান।
তবু কিছু আছেন কবি কাব্য লেখেন চমৎকার-
এই আসরে তাইতো রে ভাই চক্ষু রাখি বারংবার।