ওহে শৃঙ্গ, মর্তের পর স্থূল সবাকার-
  নীরবে গড়েছ আপন রাজ্য সুদূরে প্রসার!
তব রাজ্য মাঝে              কি বা রত্ন আছে-
কিসের নেশায় জগতবাসী ছুটে তোমার পিছু?
সবার নয়ন জুড়িয়ে দেয় তোমার উঁচু- নিচু!  

    বিশাল তব দেহখানি- বিশাল তব বক্ষ,
   জগতবাসী ঘুরে তবু ঘুরে না তব অক্ষ,
দাঁড়িয়ে অচঞ্চলা            হেরিছ জগতছলা,
      নীরবে ঘোষিয়াছ আপন বিশালত্ব।
  জগতবাসী ছুটিয়াছে খুঁজিতে সে তত্ত্ব!


       ক্ষুদ্র অতি পঙ্কপাল নাচে পঙ্কনাচ-
   বিশাল দেহের নীরবতা কে করিবে আঁচ?
জগতের সব বড়সড়        অতি ধীরে নড়চড়,
  ক্ষুদ্র যারা নাচুনী দিয়ে সবার নজর কাড়ে।
  নাচুনী বিনে হারাবে যে নয়নের গহবরে!  


       এই যে বিশাল তুমি গগনবিদারী,
     গগনের তলে তব অগুনতি পূজারি;
   তবু তব নীরবতা         অহমের দীনতা
       বড়ত্বের ধ্বজা ঠিকই রাখে উন্নত।
       উঁচু যার দেহ তাঁর আঁখি অবনত!


         --রচনা ২০০০ সাল