বিভাজন রেখা
---
এঁকে দিলে তুমি সুস্পষ্ট বিভাজন রেখা,
নিষ্ঠুর একটি অস্পষ্ট  রেখা সুস্পষ্ট  ইঙ্গিত দেয়
তোমার আমার অনতিক্রম্য দূরত্বের বার্তা।
পথ ছিলো একটি,নিত্যদিনের আসা যাওয়ার-
ওখানে অনেকেই ছিলো,তাঁরা একসাথে হেঁটেছিলো,
গেয়েছিলো সমস্বরে জীবনের গান।


একটি কোকিলের গানে এসেছিলো জোয়ার,
এসেছিলো অসংখ্য অপূর্ব ক্ষণ-
ছিলো বিমুগ্ধ প্রহরে কেবলই মুগ্ধ হবার পালা।
ক্রমশঃ নিয়তি জানান দেয় চুপিসারে
ওখানে শুধু ভালোবাসাই ছিলো না,
ছিলো অসংখ্য হৃদয়ভাঙা গান।
জোয়ারের জল থাকে না চিরকাল,
শুধু রেখে যায় স্মৃতিচিহ্ন,
কখনও তা প্রাপ্তির,কখনও তা ঘাটতির।


হিসেবের খাতা দূরে পড়ে থাক
আমি দেখি পাড় ভেঙে পড়ে,
হৃদযমুনার পাড়ে বসতি গড়ে রাহু।
ভাঙ্গনের শব্দ তুমি শুনতে না পাও
আমি অহরহ  শুনি- দেখি আরও গাঢ় হয়
পথের বিভাজন,একটি অদৃশ্য দেয়াল
আমাদের বিচ্ছিন্ন করে
যাবতীয় সুরভিত আয়োজন থেকে।


ভালো থেকো তুমি,পথের সাম্রাজ্য তোমারই,
তুমি রেখে যাও পদচিহ্ন,হেঁটে হেঁটে যেতে থাকো
একদিন পৌঁছে যাবে ঠিক পথের শেষ প্রান্তে।
আমি পথ ছেড়ে আলপথে হাঁটি,
পৃথিবীটা একই সাথে বিকল্প সাথে নিয়ে চলে,
আর আমিও পৌঁছে যাবো একদিন পথের শেষে।
কথা ছিলো সাথে যাবো,কথা হয় জঞ্জাল,
আজকাল সবাই জঞ্জালের স্তুপে অনায়াসে করি বাস,
সুগন্ধি গোলাপের ঘ্রাণ  অনায়াসে উপেক্ষিত নির্বাসনে।
২৮/৪/১৯