রক্তাক্ত ধরনীতল,
তারই মাঝে, কে গো,
জননী, না ভগিনী, না কার ও প্রেয়সী তুমি,
করিছ ক্রন্দন,
না ফেলি চোখের জল,
ত্যাজি অন্ন-জল,
নীরবে?
হা, হা, হা.
নিমেষে ফুকারিয়া মিলায় হাহাকার,
রুপ ধরি বাষ্পাকার.
গৃহে ফিরে যাও জননী.
কে আছে আমার,
কি আছে আমার?
ছিল মোর সবে ধন নীলমনি,
আমার জাদুমনি,
আমার সোনারখনি.
সে যে আছে এইখানে ঘুমায়ে,
হ্যাঁ গো, এই নায়ে.
কোদালখানা নিয়ে বাড়ী থেকে এসেছিলাম চলে,
সেটা কে যে নিয়ে গেল,
গেল নাতো বলে?
এখন কি করি?
নিজ বক্ষপাঁজর উপড়ে,
বাহির করিব তারে,
                আহারে!
পৃথিবীপরি,
নিজ অধিকার দাবী করি,
করেছিল আন্দোলন,
সমষ্ত শক্তি করি সম্মেলন.
আজ সব অধিকার ছাড়ি,
পরপারে দিয়াছে পাড়ি,
নীরবে.
         ..........