সাগরতটের সাগরবেলায়,
ঝিনুক কুড়ায়ে সাঁঝবেলায়.
বসি আঁনমনে একধারে,
কল্পনামুর্তি রচিবারে.
কতো না জাল বুনি,
সাগরজলের কলতান শুনি.
আগলিয়া রাখি তারে,
ত্যাজি সকল আপনেরে.
কত কথা মোর সনে,
সুখ দূঃখের দিন গুনে.
তারও ছিল সকলি,
সব হারায়েছে মোর কাকলি
সাগরবেলায় এসে.


সহসা জলোচ্ছ্বাস আসি,
নিয়া গেল সব ভাসি.
মনের দূঃখে ঘুরি এধার ওধার,
কোনখানে নাই সে আমার.
আবার কি রচিব একটি মুর্তি,
মিটাইব মনের স্ফুর্তি?
ঐখানে কি যেন,
এভাবে পড়ে কেন!
একটি খন্ডিত হস্ত,
কি ভাবে হয়েছে বিধ্বস্ত!
হয়ে মনোহরপুর, পরে অচিনপুর,
পেনু সবকিছু, ঘুরে সমস্তিপুর.
আবার জোড়া লাগাইনু তারে,
কি অবস্থা করেছিল, আহারে!
কিন্তু জোড়মুখ না পারি,
মিলাইতে একেবারি.


সহসা আবার আসিল জলোচ্ছ্বাস,
দেহে নাই কোন শ্বাস.
চোখ খুলে দেখি,
ছিটকাইয়া পড়িয়াছি আমি.
কিন্তু আমার সে কোথায়?
ঐ তো রয়েছে হোথায়.
অচল, অটল,
শান্ত সুবিমল.
দেখিনু আশ্চর্য্য হয়ে,
জোড়মুখে গিয়াছে বুলায়ে.
অপার স্নেহের ষ্পর্শ,
নাঃ আমি পারিতাম না,
রচিবারে এমন অত্যাশ্চর্য্য!
         ............