দেখনা চোখে গড়িয়ে নামছে জল
কোথায় আমি এঁদের লুকিয়ে রাখি
ও’পাখি তুই কোথায় গেলি বল
প্রেমিকা আমার ছোট্ট সোনা পাখি।


পাখি ও’তোর জীবন ঘিরে খাঁচা
একবার তুই ঝাপটে দে তোর ডানা
ওই খাঁচাতেই সারাটি জীবন বাঁচা
থাকবে না আর উড়তে কোনও মানা।


পাখি ও’তোর জানালায় উঁকিবুকি
তোর জন্যে বাজাবো মোহন-বাঁশী
শুকনো চোখে লাগে যে জনম-দুঃখী
দেখবো ও’তোর পরাণ খোলা হাসি।


এক নয় পাখি দুই তিন চার পাঁচ
মনের যত বাঁধনগুলো ঠেলে
চাইবি যত দেখাব তোকে নাচ
তবুও যদি কপাট ভাঙ্গিস ফেলে।


তোর জন্যে বাঁধব গাছেই বাসা
ইচ্ছেটা তুই পূরণ করেই দেনা
পাখি আমার এতটুকুই আশা
আমি যে তোর অনেক দিনের চেনা।


ও’পাখি তুই আমার সাথে যাবি
একবারও বল করবিনা তুই রাগ
পাব যা তাই ভাগ করে তুই খাবি
আমার জন্য যতই রাত্রি জাগ।


জানিরে পাখি কষ্ট হচ্ছে খুব
একবার তুই ডাকনা মধুর সুরে
ছেড়ে আয় তুই সোনায় মোড়া সুখ
একবার তুই ঘুরেই আয়না উড়ে ।


ও’পাখি তোর সকাল সন্ধ্যা দিন
একবার শুনে দেখনা আমার কথা
থাকলি খাঁচায় জনম – পরাধীন
আপন করেই নেব সকল ব্যথা।


পাখি তোকে শিখিয়ে দেবই প্রেম
দেখবো বসে মেঘবৃষ্টির খেলা
পাখি আমি এমনই জাদু জানি
ছন্দলয়ে ভাসবে শব্দ-মালা ।


একবার তুই আমার সাথে আয়
আয়না পাখি ভেঙ্গে দিয়ে তোর খাঁচা
তোর জন্য কষ্ট হচ্ছে খুব
এখন আমার কঠিন হল বাঁচা।


কমল নুহিয়াল, ০৯/০২/২০১৪