অংক,ইংরেজি,বিজ্ঞান
নাম শুনতেই মনে হয়
অধমের কণ্ঠের পশ্চাদ্ভাগে
প্রেতাত্মার বসবাস।
পরীক্ষার পড়া করব কি করে?
থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপছি
পুড়ে গেলাম রে বাবা,
হাঁপানি জাপানি কায়দায়
এট্যাক করল বোধহয়।
ভাবলাম একটুখানি সর্ষের ক্ষেত ঘুরে আসি
আঁখির পর্দা টানতেই
ভেসে ওঠে বাঁশঝাড় আর সেখানেই
দপ্তরি কাকা,হেডস্যার দুজনে কি যেন খুঁজছেন
বুঝলাম এ কপালের পরিণাম।
রাত-দিন একাকার
বেলার ভাত অবেলায়
বাথরুমে রিডিংরুম
কত হল দৌড়ঝাঁপ।
বিজ্ঞান পরীক্ষার ঠিক আগের রাত
রাতের পরিধি তিনটের কাঁটা ছুঁইছুঁই
নিউটনের আপেল সূত্র পড়ছি
একটা আপেলের কবিতা মাথায় এসেছে
ভয়ংকর রাগে একটা কদবেল খেলাম
কেন যে কবিতার সময়জ্ঞান নেই?
'আপেল যদি প্রস্তর হয়
তবুও আমি গিলব
এক্সাম হলে সাদা খাতায়
প্রস্তরবমি করব।'
আবৃত্তির হেতু চক্ষু মুদিলে
পুনশ্চ দেখি বাঁশঝাড়
দপ্তরি কাকা বাঁশ কেটে চলে
পিছনে দাঁড়িয়ে হেডস্যার।
লাফিয়ে উঠে পুস্তক বুকে ধরি
অতি দ্রুত চলছে আমার দেহের ঘড়ি
স্যার আইজ্যাক নিউটন
তোমার তৃতীয় সূত্র সত্য চিরন্তন।
প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে
মাথায় হেলিকাপ্টার চলে
সব অসাধারণ প্রশ্ন দেখে
আমার মগজের অভিধানে
শুধু টাইপো এরর ধরা পড়ে।
এদিকে জ্ঞানহীন কবিতা
স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকে পড়ে
হিপনোটাইজড হয়ে উত্তরপত্রে লিখে বসলাম
'পরীক্ষার খাতা!
যদি হত আমার কবিতার পাতা'...