তুমি প্রকট, প্রখর দিবাকর
আমি ঝরনা পাহাড়ে জ্ঞাত শশধর
আমি পাথরের বুকে জলোচ্ছ্বাস
মাঝে মাঝে পুড়িয়ে দিও, হবে নরকবাস।


বেলাশেষে আর নয় অপেক্ষা মধুচন্দ্রিমার
তাল-বেতাল জল্পনা কল্পনা নয় আর
বিষবৃক্ষের তলে শান্তির অন্বেষন
ভ্রমে ভ্রমর কাগজের ফুলে করে মধু আহরণ।


আমি যে বিষবৃক্ষ,আমি যে কাগজের ফুল
তোমার সমান হবে না জানি আমার ত্রিকুল
কিসের ঘোরে এ পোড়াকপালে লিখেছিল বিধি সুখ
ক্ষনিকের সে সুখের অভিশাপ চিরদুঃখ।


রাজমাতা হতে চায় নি এ পাপী শোন শহুরে বাবু
দাসীর প্রেমে দেখেছি তোমার মিথ্যে হাবুডুবু
উড়োজাহাজ তো উড়বেই চিরকাল
শুষ্ক তটিনী নির্বাক হলেও অশ্রু বেসামাল।


লুটে নিলে মূল্যহীন গরীবের সম্বল
অট্টালিকায় উঁচু মাথা নিয়ে তুমি সংসারে বিহ্বল
আমার বাসর মরণ আসর স্বাক্ষী শুধু বিভাবরী
দুশ্চরিত্রা'র তকমা পেয়েছে তোমার রাইকিশোরী।