জানি না কি অপরাধে ওরা আমার বাবাকে মারে,
পুলিশ বলেছিলে, তস্করের লাশটা নিয়ে যা লাশকাটা ঘরে।


আমি হতবাক,মা নির্বাক পরিলাম অথৈ জলে,
সংসারের একমাত্র জিবিকা গেল অস্তাচলে।


তারপর যতবারই শুধাই একটাই উত্তর,
চুরির দায়ে নাকি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সদর।
সেখান থেকে পালানোর সময়,গুলি করা হল পায়ে,
তাতে নাকি মৃত্যু হয়েছে,অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহে।


অবাক পৃথিবী, অবাক হই বারে বারে,
নিতান্ত নিরিহ মানুষটাকে এইভাবে ফাঁসালে,
পরে জানিলাম বড় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল,
বাবার বন্ধু যখন সব খুলে বলিল।
প্রানের ভয় সবার তাই কেউ মুখ খোলে নাই আগে,
বড় ম্যানেজার বলেছিলেন বাবাকে সরাতে মাল রাতের গভীরে,
বাবা আমার তা না করে, জানায় পুলিশকে,
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই সবাই জানে,
সাধাসিধে লোকেটি তা না বুঝতে পারে।


এই সংসারে হায় আজকের রাজারাই করে যত চুরি,
তারপর সাজানো হয়,  প্রজাকে ফাসনোর যুক্তি ভুরি ভুরি।