ভালোবাসা তারে কয়!- নীরবে যে রয়?
    শোনো তবে-বলি সবারে।।
এ নয় গল্পগাঁথা, এ নয় গুপ্তকথা,
এ চরম বাস্তবতা।।


“একদিন একতট ভালোবেসেছিলো-তার তটিনীকে!
যে তার বুক জুড়ে বয়ে গেছে...
তারপানে চেয়ে,তটের গেছে কতকাল কেটে!
সেই তটিনী-যার উথাল-পাথাল ঢেউ,
প্লাবন আনে, তটের শরীর ও মন জুড়ে।।

তারপরই, হটাৎ এক মনখারাপের ভাটায়...
তটিনী যখন তটের থেকে একটু দূরে!
অপেক্ষায় আর আকুলতায় তখন-
তটের বুকে আঁকাবাঁকা অসংখ্য চির ধরে।।
তবুও তটিনীর সাথে হয়না দেখা তার!
ছলাৎ ছলাৎ শব্দে,সে বলেনা গল্পকথা আর!


তারপর অনেকদিন পরে-
এক নির্জন দুপুরে, সকলকে লুকিয়ে-
তট এলো তটিনীর কাছে চুপিসারে,
বিস্ময় আর অনুরাগ মাখা মুখে...
সেই অপূর্ব সুন্দর রূপখানি দেখে,
হৃদয়ভরা সুখে,তটিনী ছুঁয়েছিল তটটিকে!
ফিশফিশানি সুরে-
শুনিয়েছিল তটিনী-‘কইবকথা অবকাশে!’


তারপর এক বর্ষার সাথে,
তটিনী আসে অপেক্ষিত তটের কাছে।
অভিমানিনী বলে-‘আমি নই অন্তর্যামিনী!’
তাই রম্য,না বাধিঁলে আমায়,
হইবেনা এই মনমোহিনী-তোমার চিরসঙ্গিনী।।