অদ্ভুত মায়াময় ভয়ংকর,
ভূতরে পাড়া গাঁয়ের চিত্ত- মত্তে ।
কুচকুচে রোশনি অন্ধকার,
বেষ্টিত রাতের চাদরে ।
পিচ ঢালা পাড়া গাঁয়ের সরণিতে,
লোকজনের নেই  সাড়া শব্দ।
শিয়ালের কন্ঠে হুক্কাহুয়া হাঁক।
মসজিদ,মন্দির, মাদ্রাসায়,মাজারে,
ক্যানডেলের আলো জ্বলছে পড়ার টেবিলে।
বাজারে বিত্তশালী সাহেবের আবাসে।
উঠান, বারান্দায়, বাডেকে জ্বলছে,
পল্লী,অফদা,সোলারের বৈদ্যুতিক,সৌর আলো।
অভিযুক্ত আসামি কুচকুচে আলোতে।
পুলিশ তাড়ায় ঝোপের লতা পাতার
আড়ালে অপরাধীর পলাতক দেহ্খানি।
সাপ,বিচ্চু,আড়ুল, পোকা- মাকড়,
মশা মাছির ভ্যান-ভ্যান শব্দে,
নিঘুমে কাটছে অপরাধীর নিশাত।
বাবার ভয়ে বাড়ি পলাতক ছেলেটি,
মোবাইলের স্কিনের আলোতে চুপচাপে,
রুমে ভিতরে খেয়ে উঠে ভাত।
কপাট খুলে কপোত-কপোতী
পুষ্করিণী পাড়ে ঝোনাকি আলোতে,
বসেছে দুইজন কৃষ্ণচূড়ার শিবাত।
লুঙ্গি পড়া পল্লির হিমু খালি বপু,
সাব্বা-মধ্যমা দুই আঙ্গুলের ফাঁকে,
জ্বলন্ত নিকোটিনের হলা,
সুখ টানের নাকের নিসৃত সাদা হাওয়া,
উড়ছে স্যূতহীন ঘুড়ি হয়ে ।
শব্দ সারথি  ছন্দে কবির কলম,
উঠে হেঁসে আলোর মহরতে।
সামনে এক টুকরো কুচকুচে আঁধারে
নিকোটিনের লাল লাইট।
খালি পায়া হেঁটে হেঁটে ,  
সরস্বতী দরদ ভরা কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ আসে,
দখিনা হাওয়াতে বাজে হু-হু তাল।