হে প্রিয়তি!
অলোকপাড়ের মেয়ে তুমি দূর অমরার,
ভালোবাসার জ্যোতিষ্কময় খুব চমৎকার!
তোমার তরে একশ সাগর পার হয়ে যাই এক লাফেতে,
তোমার তরে হাজার পাহাড় ভাঙতে পারি ঝঞ্ঝাবাতে;
তোমার তরে আকাশটাকে আনতে পারি মর্ত্যলোকে,
তোমার তরে চন্দ্র-সূর্য হাতে লয়ে নাচতে পারি শিবের নাচন,
তোমার তরে খুব সহজে ধরতে পারি বাজি আমার তুচ্ছ জীবন,
তোমার তরে কলমখানি ধরতে পারি শক্ত করে অবিরত,
তোমার তরে আমার চেতন বেঁচবো নাকো
                       লোভে ভরা অন্য সকল কবির মতো।


এক নিমেষেই তুমি আমার মনের মাঝে
               তীব্রদাহন আগুন ঝরা ফাগুন আনো,
লক্ষ যোজন দূরে থেকে কলজে ধরে ভীষণ টানো;
তোমার চোখের অগ্নিরেখা- অন্ধকারের তীক্ষ্ম আলো,
এবার জ্বালো, তুমিই জ্বালো;
কাটিয়ে নিতে আমার সকল মনের কালো।


ভয় ধরানো লজ্জা যত আছে জমা পাহাড় সমান,
উপড়ে ফেলো; জাগিয়ে তোমার ভালোবাসারই চন্দ্রবাণ;
উপড়ে ফেলো- শক্তিময়ী! প্রবল প্রেমের ছোবল হেনে,
ঢেলে দিয়ে সঞ্জীবনী সুধার আরক মৃত প্রাণে:
উপড়ে ফেলো অশুভ সব শক্তিগুলো,
এগিয়ে চলো, সামনে চলো;
সামনে চলো, এগিয়ে চলো।


৮ বৈশাখ, ১৪২৪
২১/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।