তোমাকে বলেছি- প্রেম প্রেম খেলা; অতঃপর,সুখ-শিহরণ!
হেসেছিলে তুমি, বলেছিলে হেসে-
'বড় বাতুলতা, বড় অশোভন!
শূন্য ফলাফলে ভরে যাবে জীবনের পাতা,
তোমার হৃদয়ে যদিও লিখেছি জীবনের ব্যাকুলতা।'
কটাক্ষ হাসিতে জেগেছিলো বিশ্ব চরাচর অকস্মাৎ,
সাগরের জল, পাহাড়ী সবুজ, জ্যোৎস্নায় স্নাত রাত;
মৃদুল বাতাসে জেগে উঠা জলাঙ্গীর ছোট ছোট ঢেউ,
রাতজাগা পাখি, ডেকেছিলো যারা সারারাত ধরে;
বিচিত্র স্বরের পোষমানা কুকুরটিও করেছিলো ঘেউ ঘেউ।


শিশুদের কথা, বুড়োদের কথা অর্থহীন ও প্রগলভতা;
শীতের বায়ুর মতো মূল্যহীন, শুধু বয়ে যায়।
খাওয়া-দাওয়ার পরে, বৃদ্ধরা যেমন বলে,
কিছুই খেতে পারি না, আগের মতন কিছুই খাই না,
শিশুগণ বলে মায়েদের কাছে,
অনেক খেয়েছি, আর খাবোই না, উদরপূর্তী হয়েছে মা!


এইসব শিশু, এইসব বৃদ্ধ- তাহাদের মাঝে পার্থক্যও আছে,
তৃপ্তি-অতৃপ্তির বিরাট ব্যবধান।
তোমারই কাছে তেমনি চাওয়া শিশিরে ভেজানো ওম ধরা রাতে
অতৃপ্তির শূন্য গোলায় পরাণ জুড়ানো শালি ধান।
তোমাতে খুঁজে বেড়াই আকাশের চাঁদ,
বিসারিত মাঠ, নিটোল জলজ নদী,
সারারাত ধরে শীতল পাহাড়ী পথে হেঁটে চলি নিরবধি।
তোমাতেই খুঁজি মরিচিকাময় এই জীবনের সাহারা-গোবিতে
অনিন্দ্য মরুদ্যানের সুশীতল ঘন ছায়া;
তোমাতেই রাখি অনাবিল প্রেম, ভালোবাসা আর মায়া।
তুচ্ছ সব সুখ-শিহরণ, সঙ্গমের আন্দোলন,
নাভির নিচের কস্তুরী, মৌতাত করা আবেশন।
তোমাতে রাখি সোনালী সকাল, জীবনের শ্যামলীমা;
স্বর্গগরীয়সী এসেছো ভুবনে,
কুঁদে কুঁদে আমি সৃষ্টি করিয়াছি- পরাণের নিটোল প্রতিমা!


২ বৈশাখ, ১৪২৪।
১৫/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।