ভালোবাসা হলো আকাশের মতো নিষ্পাপ ঘননীল,
হাজার মেঘের স্বকীয়তায় সে উজ্জ্বল ঝিলমিল।
প্রেমিকের ভালোবাসা অপার্থিব; নয় মিথ্যার ঝলক,
বিত্তের কাছে পরাভূত হয়ে চেয়ে থাকে অপলক।
তুমি আছো বলে মন ফুরফুরে রিমঝিম ঝরে বৃষ্টি,
তুমি আছো বলে কঠিন মাটিতে হয় গোলাপের সৃষ্টি।
তোমার তরেই জড়ো করি আজ আকাশের সব তারা,
তোমার জন্য এ বাউলাপনা, মোহ-বন্ধনহারা।
জীবন একটি সাগর, হৃদয় যে তার স্নিগ্ধ তীর;
ভালোবাসা হলো সাগরের ঢেউ; নয় সে পাগলামীর।


প্রেমময় বুকে নীলের আভায় জাগো আজ মেঘবতী!
তুমিই আমার প্রতীতি নিশানা- আকাশ-অরুন্ধতী।
মাটির কণায় জলের আভাস, তার ভেতরেই তুমি,
তোমার ছোঁয়ায় ভেঙে ফেলো আজ আমার গোয়ার্তুমি।
পাহাড়ি ঝর্ণা তুমি যেন এক; সোনার নূপুর পায়ে,
যৌবনাবেগে প্রবল তাড়নে আমায় নাও ভাসায়ে।
ভালোবাসা হলো দুঃখ-সুখের অবিরাম তরী বাওয়া,
ভালোবাসা এক উত্তাল নদী, ঝঞ্ঝাঝড়ের হাওয়া।


তুমি কি এসেছো অলকানন্দা হতে, হে কবিতার মেয়ে?
সামনে দাঁড়ালে অমল বালিকা! কবিতারা আসে ধেয়ে।
ভালোবাসা পেতে এসেছি ভুবনে, ভালোবাসা আরো চাই,
ভালোবাসা তরে জীবন বিকাবো, দয়ামায়া কোন নাই।
হারিয়েছি যাহা, খুঁজি না গো তাহা; পাবো না কোথাও জানি,
ভালোবেসে কেউ তুলবে না ঘরে? সবায় কি অভিমানি?
আমার নয়নে সাগরের জল, তোমাতে তপতী-হাসি,
নোনাজলে ভেসে যেতে যেতে বলি- তোমাকেই ভালোবাসি।


প্রিয়তি আমার! তুমি যদি মিছেমিছি অভিমান করে
ঠুনকো রাগের ঝলকানি তুলো নীল আকাশের গায়;
ফসলের মাঠে প্রবল তুফান শুধু আছড়িয়ে পড়ে,
দৈন্যতা নামে নদীতলদেশে ক্রমশ শুকিয়ে যায়।
আমি যে হয়েছি যোগী, তোমারই রাজ-দরবারে আজ,
সেই যোগীকে রাজ-উপহার দেয়া সম্রাজ্ঞীর কাজ!


৩ আষাঢ়, ১৪২৪
১৭/০৬/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।