কবিতা এখন কথা বলে নাকো
আগুনের মতো ছড়ায় না তেজ- স্ফুলিঙ্গ;
লড়ায়ের মাঠে শাণিত অস্ত্রে বাজে নাকো আর ঝননঝন;
রাজপথ ছেড়ে কবিরা এখন বনে ও বাদারে
প্রেমিকার হাত ধরে, হাটে-বাজারের খাবারের ঘরে
কবিতার সাথে খুনসুটি করে তারা অবিকার।
কবিতারা আর কথা বলে নাকো- চমৎকার!


অর্থ-ক্ষমতা লোভীদের মত কবিরা এখন
দুর্বৃত্তায়নে মগ্ন; পুরস্কার আর তকমার গোপন ইচ্ছায়
কবিদের প্রবলতর প্রগলভ করে তোলে।
তোষামোদীদের মতো শব্দে শব্দে, কবিতায় কবিতায়,
স্তুতির বাক‌্যে পয়ার সাজায়।


কবিতা হবে স্পর্ধিত শব্দের বাণী- ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র;
কবিতা হবে কলমের আগায় বারুদের গোলা,
কবিতা হবে সকল অত্যাচারী শাসকের বুকে
গণবিস্ফোরণের তীব্র যন্ত্রণা!
কবিতা হবে দুর্ভিক্ষে, দারিদ্রে,
হত্যা-ধর্ষণে, দুঃশাসনে পরাক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী;
কবিতা হবে উপমায়, উৎপ্রেক্ষায়, রূপকে সঞ্জাত
শিল্পীত প্রতিরোধ- জনযুদ্ধের সারথী।


কবিতা এখন নির্বীর্ষ পুরুষের মতো
কুসুমিত রমণীর স্তনের সৌন্দর্যের কথা কয়,
কবিতা এখন রমণীয় রমণীর নিতম্বের ঢেউ আঁকে।
রূপজীবীদের মতো কবিরা এখন
আতর মাখা খদ্দেরের মনোরঞ্জনে পসরা সাজায়।
এক টুকরো ত্যানার মতো উত্তরীয় আর
তকমার সাথে ঝকমার হতে কতো না প্রয়াস তার!


২৮/০৩/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।