কম্পমান হাতে কবিতাওয়ালা স্পর্শ করেছিলো
স্তম্ভিত লাবণ্যময় চন্দ্রাবতীর হাত,
গভীর ভালোবাসায় অঘোর সন্ধ্যায়,
হাতের ভেতরে বয়ে যায় অদ্ভুত শিহরণ!
চন্দ্রাবতীর আঙুল, তালু, নোখ একাকার হলো-
যেন প্রিয়তির চিবুক, কপোল, করোটি-
জলজ্যান্ত সুরভীত নিটোল শরীর।
তারা জ্বরাক্রান্ত- উত্তপ্ত, কম্পিত, ভীত, সন্ত্রস্ত।
চন্দ্রাবতীর ফিসফাস ভালোবাসার উচ্চারণ-
গহীন বনের ভেতর নির্ঝর-কল্লোল;
টলমল অশ্রুজল- অবিকল মোতির মতন।
অবিচল কবিতার স্নিগ্ধ আভাময় হস্ত তার;
উৎসবে বর্ণিল প্রস্ফুটিত চাঁদ
কবিতাওয়ালার পাশে অধীর, উত্তেজিত চন্দ্রাবতী।
সন্ধ্যা ঘনায়ে আন্ধার নামে বিশ্ব চরাচরে,
রাত্রির গহীনে হেঁটে যায় চন্দ্রাবতী
কবিতাওয়ালাকে একা রেখে রাজহংসীর মতো;
যে হাত ছুঁয়েছিলো- সুরভীতে তার এখনো মাতাল!
সে হাতের চেয়ে শুদ্ধ কবিতা আর নেই;
কবিতাওয়ালা চেয়ে রয় অপলক চোখে।


২৭/০২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।