'তোমাকেই ভালোবাসি',
বলেছিলেম প্রাণের স্পন্দনে ভীরু কম্পিত স্বরে।
দুঃসাহসী জোয়ানের লোমশ বুকে
সমর্পণ করে দিতে চাই কোমল সৌন্দর্য;
তীব্র কামনায় পরিপূর্ণ করে ভরে দিতে পারে
আদরে সোহাগে চুমুর যাদুতে যে যুবা পুরুষ,
তাকেই বিলিয়ে দেবো বিস্তৃত প্রান্তরে
ইস্পাতের কঠিন বলয়ে রক্ষিত কুমারীত্ব।

হাহাকার করা বুকের ভেতরে স্ফুলিঙ্গের পরশে
প্রান্তরের বুকে ছড়িয়ে পড়বে আদিম উদ্দামতা;
লুটিয়ে দিবো এ জীবনের স্বাধীনতা,
সফলতার অহংবোধ; অন্ধকারে খুঁজে নেবো
চান্নি পসর রাইতের তরল রজত।
তারপর, আকাশ ঝামরে নামাবো তুমুল বৃষ্টি।


ভালোবাসার জন্য কোন এক কবি
হাতের মুঠোয় নিয়েছিলো প্রাণ; এমনই প্রেমিক চাই।
তার তরে বুকের ভেতরে জমা করি গোলাপের নির্যাস।
অথচ, আমার পুরুষ মাতাল হয়ে  টলতে টলতে বলে,
'প্রিয় জানু, আমি তোমাকেই ভালোবাসি।'


মুখে সস্তা সিগ্রেটের উৎকট গন্ধ,
বন্ধ হয়ে আসে আমার  শ্বাস-প্রশ্বাস,
চুম্বন রাখে ঠোঁটের উপর- যেন বিষাক্ত সর্পের ছোবল;
একদা ভালোবাসার হিসেব মিলাতাম বেহিসেবি হয়ে।
এক সুশীলা লজ্জাবতী আমি,
যে ভালোবাসার জন্য এ হৃদয় কেঁদে কেঁদে হন্যে হতো,
সে-ই ভালোবাসা এখন অন্ধকারে কেঁদে বেড়ায়।


২৯/১০/২০১৫
মিরপুর, ঢাকা।