"খেয়ালী হলুদ খামে কয়েকটা চিঠি লেখেছিলাম
বেখেয়ালী হাতে,
পাঠাবো পাঠাবো বলে শেষমেষ পাঠানো হয়ে উঠেনি।


চিঠিগুলো নিবৃত্ত চিত্তে বিকশিত হয়েছিলো সযত্নে তুলে রাখা সুকেচে,
আর কিছু চিঠির বয়স ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠেছিলো ডাইরির পৃষ্ঠা ও পাতার ফাঁকে ফাঁকে।


সময়ের ভাঁজে ভাঁজে বদলে গেছে অনেকটা প্রহর
পেরিয়ে গেছে কয়েকটা যুগ,
বতর্মান দাড়িয়ে  আছে বিবর্ণ  শতাব্দীতে,
আজ চিঠি গুলো কেমন আছে তাও জানিনা
নীল কাগজে সাঁজানো শব্দ গুলোর বয়স বার্ধক্য ছাড়িয়েছে নিশ্চয়
হয়তো জেল পেনের কালো কালি গুলো ছড়িয়ে গেছে পুরো পৃষ্ঠা ,
নীল আর হলুদ রঙটাও বদলে গিয়ে কালো কালিতে একাকার  হয়ে গেছে হয়তো।


যে কথাটার বয়স বেড়ে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে
এতকাল,
এতোটা বছর,
এতোটা যুগ
সেটা না হয় ঠাঁই দাড়িয়ে থাকুক,
বয়ে চলুক নিজের গন্তব্যে।


তোমার সাথে এই প্রথম দেখা
শৈশব ছেড়ে যখন এই যৌবনে পা রেখেছি
জমে থাকা কথা গুলো
হয়তো সব বলা হয়ে  ওঠেনি
তবুও বলে ফেলেছি,
অনেকটা কথা
অনেকটা শব্দ
কয়েকটা কবিতা
কয়েকটা গল্প।


ভালো থেক,
আমি চলে যাচ্ছি
দেখা হবে হয়তো আবার
কোন এক হেমন্তে
বসন্ত পেরিয়ে কৃষ্ণচুড়ার নদীতে,
সময়ের ঘুর্নিপাকে
বৃত্তের পরিধিতে,
সময়ের আলিঙ্গনে।