বাবার জন্য লেখা


জানতাম একটি সন্ধ্যা নামবে ,
যে সন্ধ্যা নয়ন ভরে -
বুকে ত্রিশূল বিঁধে ;
নীরব নিথর সবাইকে কাঁদাবে।


যে সন্ধ্যা-সকল মায়া কাঁয়া ছিন্ন করবে ,
অটুট বন্ধন সব ভেঙ্গে ফেলবে,  
দৃষ্টিহীন অভাবনীয় দূরত্ব বাড়াবে ,
শূণ্যতার এক বিশালতা রেখে যাবে।


যে সন্ধ্যা- অধিকার নিয়ে কাছে যাওয়ার সকল মূলবোধ হারাবে,
যে সন্ধ্যা- কাছে টেনে বুকে জড়ানোর হাহাকারটা অনুভব করবে ,
যে সন্ধ্যা- চোখে মুখে বিরহ প্রকাশ না করলেও
নিশ্চিত হৃদয় পুড়ে শ্মশান করবে ।


যে সন্ধ্যা আসলে-
গভীর রাতে টেনশনে ভরা চেয়ারটা- আর বারবার দোল খাবেনা,
এটা করনা, সেটা কর
এমন শাষণ বারণ আর থাকবেনা।


যে সন্ধ্যাটা আসলে-
বাড়ি ফেরার জন্য কেউ আর অপেক্ষায় থাকবেনা ,
ফোন কলে অতিরিক্ত কেয়ার করার- আর সেই ফোন কলটা আর আসবেনা।


যে সন্ধ্যাটা আসলে -
রোজ নিশিতে ,ঘুমের ঘোরেও ;
কপালে চুম্বন আর পড়বে না ,
মাথায় হাত বুলানি , চাঁদরটাও গায়ে- আর রোজ ঠিক করে দেয়া হবে না।


যে সন্ধ্যাটা - সব কিছুই হঠাৎ এলোমেলো করে দিবে,
শান্তি নামের প্রদীপটার নির্যাস নিভে ফেলবে,
রক্তজবা আঁখিতে মেনে নিতে হবে তার প্রস্থান ;
হাল ধরতে জেগে উঠবে নতুন কেউ -
সেই সন্ধ্যায় হারিয়ে যাওয়া একটি অবস্থান ।


(অসুস্থ বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়ার আবেদন)