মার্কিণ কবি Sara Teasdale একজন গীতিকাব্য রচয়িতা ছিলেন। তিনি ০৮ আগস্ট ১৮৮৪ তারিখে আমেরিকার St. Louis, Missouri তে জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি নাম ছিল Sara Trevor Teasdale। আজীবন ভগ্ন স্বাস্থের অধিকারী Sara শিশুকালে এতটা দুর্বল ছিলেন যে ১৪ বছর বয়সের পূর্বে তার পক্ষে লেখাপড়া শুরু করা সম্ভব হয় নাই। ১৯০৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ Sonnets to Duse প্রকাশিত হয়, আর দ্বিতীয়টি হয় Helen of Troy নামে, ১৯১১ সালে। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি  একটি রোমান্টিক গীতিকাব্য হিসেবে সমাদৃত হয়।
১৯১১ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত তার জীবনে কয়েকজন প্রথিতযশা পুরুষ প্রেমের বারতা নিয়ে এসেছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন কবি Vachel Lindsay, যিনি ঐ সময়ে তার প্রতি অন্ধ প্রেমে হাবুডুবু খেলেও মনে করতেন যে তাকে সন্তষ্ট রাখার মত তার যথেষ্ট টাকা কড়ি ও স্থিতিশীলতা ছিলনা। Sara অবশেষে তার কবিতার অপর এক গুনমুগ্ধ ভক্ত Ernst Filsinger কে ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৪ তারিখে বিয়ে করেন এবং  Sara Teasdale Filsinger নাম গ্রহণ করে তার সাথে ১৯১৬ সালে New York City তে পাড়ি জমান। সেখানে তারা Central Park West এলাকায় একটি apartment এ বসবাস শুরূ করেন।
Sara Teasdale Filsinger এর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ Rivers to the Sea ১৯১৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং প্রায় সাথে সাথে best seller এ পরিণত হওয়ায় বেশ কয়েকবার পুনর্মুদ্রিত হয়। ১৯১৮ সালে তার কাব্যগ্রন্থ Love Songs তিনটি মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার অর্জন করে, যথাঃ Columbia University Poetry Society prize, The 1918 Pulitzer Prize for poetry এবং The annual prize of the Poetry Society of America.
তার স্বামী Filsinger কে ব্যবসায়িক কারণে প্রায়শঃই ভ্রমণে থাকতে হতো। যে কারণে একাকীত্বে অতীষ্ঠ হয়ে তিনি গোপনে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনজীবিদের শরণাপন্ন হন। আইনজ়ীবিদের পরামর্শে তিনি অবশেষে Filsinger কে বিষয়টি অবহিত করেন, যা শুনে Filsinger হতভম্ব হয়ে যান। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় জয়ী হয়ে তিনি Central Park West এ তাদের পুরনো বাসস্থানের মাত্র দুই ব্লক দূরে একটি বাসা নিয়ে একাকী বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি তার পুরনো প্রেমিক কবি Vachel Lindsay এর সাথে তার নির্বাপিত সম্পর্ক পুনরুদ্দীপ্ত করেন। ততদিনে Vachel Lindsay স্ত্রী ও বাচ্চাকাচ্চাসহ সংসার পেতেছিলেন। ১৯৩৩ সালে Sara Teasdale  অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেন। এর ঠিক দুই বছর পূর্বে তার বন্ধু ও প্রেমিক কবি Vachel Lindsayও দুঃখজনকভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।


তথ্যসূত্রঃ  ইন্টারনেট