কেন তাকে তুমি বলছ অবলা!
সে তো বেশ আছে একেলা
প্রতিবাদ করে বাড়ায় না রোধ  
কুড়োয় কাগজ দু-বেলা|


কারো আহবানে নেয় নি এ কাজ
দক্ষতাহীন কর্ম
এই এক কাজে খুঁজেও নিয়েছে
তার জীবনের ধর্ম|


টো টো করে যায় দু-চোখ ঘোরায়
কাগজের সন্ধানে
বেলাগুলো কাটে পথে ঘাটে মাঠে
বাঁচার তাগিদ পরানে|


সে গরীব এ তো সবাই বলবে
বলতেও পারো তুমি
এ ছাড়া কি আর বলবেই তাঁকে!
সে তো ছুঁয়ে আছে ভূমি|


তার সংসারে এক নিঃশ্বাস
বিশ্বাসে ভরা প্রাণ
প্রাণটা বাঁচিয়ে রেখেছে আদরে
নিয়ে সংযত অভিমান|


ভবঘুরে নয় ভিখারীও নয়
নিজ মান তার দুর্গ
বানিয়ে নিয়েছে খড়কুটো দিয়ে
কুটির, যা তার স্বর্গ|


তার কাজ নয় বুদ্ধির খেলা
ভেবোনা বুদ্ধি কম
শান্ত সরল মনে জড়িয়েছে
শুধুই পরিশ্রম|


সে স্বাধীন আর সেও নাগরিক
জণ্মগতই অধিকার
তাঁকে বসিয়ো না কোনো নীচু স্থানে
তাহলেই হবে অবিচার|


অবলা সে নয়, কখনই নয়
পরিশ্রমের প্রতীক
শ্রদ্ধা ও সম্মানের যোগ্য
বলতেও পারো নির্ভীক!