//নিষ্ঠাবান ও চরিত্রবান//


নিষ্ঠাবান ও চরিত্রবান
যদি হয়ে যাই, বেড়ে যাবে মান
স্বপনের পণে উঠবে না তান
বিনা প্রয়োজনে করবে কী ভান!
মান বৃদ্ধিতে করবে না কেউ প্রতিবাদ...
আর যদি করে, হয়ে যাবে বোকা নির্ঘাত।


যে কেউ নিষ্ঠাবান হতে পারে
এ তো নয় যাওয়া কঠিন সমরে
বা সাঁতার কাটা গভীর সাগরে
কিংবা পা রাখা মরণের দ্বারে
যে কাজ নিজের, সেই কাজ ঠিক করা...
কাজ তো আছেই, কাজে আসেনি তো খরা।


চরিত্রবান হওয়া নয় দুষ্কর
চরিত্রে দাগ, আপন হবেই পর
চরিত্রে হোক কলঙ্কহীন স্তর
আলোর শিখায় হোক অবসর
সৎ চরিত্র নিয়ে ভাবনায় নেই খুঁত...
আসবেই ছুটে বহু শান্তির দূত।


দুর্ভাবনার জীবন কী চাই!
নিষ্কলঙ্ক জীবনই চাই
চাই তো আমরা অনেক কিছুই
পাওয়ার প্রয়াসে কী করে যাই!
প্রয়াসে থাকুক হওয়া চরিত্রবান...
আর কাজে হওয়া নিশ্চিত নিষ্ঠাবান।


নিষ্ঠাবানের প্রয়োজনীয়তা
যে নিষ্ঠাবান, শোনা তাঁর কথা
শুনতে পারলে, মনে তৃপ্ততা
ক্ষতিপূরণের উঠবে না কথা
বাঁচবে সময়, কাজ হয়ে যাবে নির্ভুল...
অবধারিতই ভাবনা হারাবে ভুল।


কাজ করে যাই আমরা সবাই
ভাবি নাকি কাজে ভুল করবই!
নাকি ভাবি কাজ সুচারু হবেই!
তবে করি কাজ সাধ্য মতই
কাজ করতেই নিষ্ঠা ভীষণ দরকার...
ভালো চরিত্র লাগসই কাজে উপচার।


সুবীর সেনগুপ্ত