//নাম নামচা//


নীতি আলোচনা করবে নীতিন
বিথীর চর্চা করবে সুবিথী
সুলেখার কাজ হবে যাবে লেখা
রাজারা করবে শুধু রাজনীতি।


নাম বলে দেবে কার কোন কাজ
সে কাজ করতে থাকবে না লাজ
এই প্রকরণ গড়তে কী পারে!
পুষ্ট হবে কি এতেই সমাজ!


নামের সঙ্গে কাজ জুড়ে দেওয়া
জন্মের দিন অনুমানে নেওয়া
যাঁর নাম সে তো চিত্রেই নেই
নিশ্চিত করে ভুলকেই ধাওয়া।


নাম আর কাজ জুড়তে পারে না
এই প্রয়াসের মানেই হয় না
কখনো যদি বা মিলে যায়, তবে
কাকতলীয় কী একে বলব না!


কাজ নয় নাম, কাজ ও পদবী
ইতিহাসে পাই তার এক ছবি
পাই জাত আর সামাজিক শ্রেণী
সাক্ষী থেকেছে এসবের রবি।


সাহা হলে সে তো ব্যবসায়ী হতো
সেন-সেনগুপ্ত হতই বৈদ্য
ব্যানার্জী হলেই পূজারীর বেশে
সমাজে সবার পুজো করে যেত।


সমাজে সমাজে ছিল শ্রেণী ভাগ
এই ভাগে ছিল মান্যতা দাগ
যে যার ভাগেই থাকত ব্যস্ত
সব্বারই ছিল রাগ অনুরাগ।


অতীত অতীতে ঘুমিয়ে রয়েছে
সময় বর্তমানকে ধরেছে
আজকের দিনে নাম পরিচয়ে
সব কাজ সকলের ঘরে গেছে।


যে নাম পেলাম জনমের পরে
যৌবনে গিয়ে বদলে নিলাম
অতীতে হতো না, আজ হয়ে যায়
পছন্দকেই ধরেও নিলাম।


আরো পরে কী যে হবে তা জানিনা
থাকবে কী নাম, নাকি থাকবে না!
এত ভাবনার নেই প্রয়োজন
তবুও আসতে থাকেই ভাবনা।


সুবীর সেনগুপ্ত