//মত পাল্টানো উচিত হবে কি!//


সকালে মানছি, বিকেলে টালছি
কথা একই ছিল, স্বীকার করছি
যে বলেছিল, সেও একই লোক
আমি শুধু মত পাল্টে ফেলছি।


কেন আমি মত পাল্টে নিলাম!
মত বদলাতে বাধ্য হলাম
এ ছাড়া কিছুই করার ছিল না
আমার ভালো কী আমি বুঝব না!


মত অভিমত আর বিবেচনা
এসবগুলোর কোথায় সীমানা!
গড়ে পলে পলে, ভাঙে পলে পলে
কখনো গড়েই ভেসে যায় জলে।


মত সামান্য, মত গুরুতর
মত মেনে কাজ হয়ে যায় বড়
সামান্য মতে সামান্য কাজ
উত্তম মত কাজে আনে সাজ।


নিজ কাজে নিজ মতের পোষণ
অন্য মতেরও হয় আগমণ
কখনো তা চেয়ে, কখনো না চেয়ে
মত চারিদিকে আছেই ছড়িয়ে।


এই সেই পলে, সকালে বিকেলে
মতের গঠন গ্রীষ্ম বাদলে
অল্প সময়ে যেমন তা হয়
দীর্ঘ সময় পরেও তো হয়।


মত ভেসে এলো, কেউ ধরে নিলো
কেউ ধরল না, ছুঁড়ে ফেলে দিলো
ধরা ও না-ধরা ইচ্ছারই দাস
যদিও থাকেনা পূর্ব আভাস।


সামাজিক মর্যাদা ব্যতিরেকে
সূমত কূমত শুনি থেকে থেকে
এই সুযোগের অবসান নেই
সমাজ চলছে মত প্রভাবেই।


মত পাল্টানো সহজ ব্যাপার
এ কী অপরাধ! জিজ্ঞাসা কার!
কেউ করবে না এমন প্রশ্ন
মত পাল্টালে হবেই ক্ষুণ্ন।


যে মতে নিজেকে সঁপেই দিয়েছি
থাকব না কেন সে মতে, ভেবেছি
কিন্তু স্বার্থ দেয় না যে সাথ
পাল্টে দিয়েই ঘাত প্রতিঘাত।


সুবীর সেনগুপ্ত