//কেউ নয় নিঃস্ব, না কেউ নিঃসঙ্গ//


নিঃস্ব হলেই হতে হবে নিঃসঙ্গ
এ কেমন তত্ত্ব, মনে হয় রঙ্গ।


একদম নিঃস্ব কী হতে পারে কেউ!
বলবে কি সমুদ্রে থাকবে না ঢেউ!


নিঃস্ব কী ভিখারী সমাজের মাঝে!
নিঃস্ব হলেও কেউ মরে না তো লাজে।


যাঁকে ভাবি নিঃস্ব, সেও বেঁচে থাকে
ধনীর মতনই সেও শ্বাস নিয়ে থাকে।


কারো আছে বেশী ধন, কারোর কম
সবারই অনুভবে ঠান্ডা গরম।


নিঃসঙ্গতা নিয়ে নয় আলোচনা
নিঃসঙ্গতা হলো কারোর বেদনা।


নিঃস্ব ও নিঃসঙ্গ নয় একদলে
মিল খুঁজে যাবো নাকি কোনো এক ছলে!


সচল শরীর নিয়ে নিঃস্ব কী করে হবে!
দুই হাত দুই পায়ে কাজ করে যাবে।


নিঃসঙ্গ হলেই তো খোঁজা যায় সঙ্গী
খোঁজার জন্য হতে হয় না তো জঙ্গী।


আমার জীবন নিয়ে আমি ভেবে যাবো
নিজ জীবনের ভার কোথায় চাপাব!


নাধর্মী ভাবনার উদ্রেক যদি হয়
তখনই তো চিন্তায় নিঃস্বতা ছেয়ে রয়।


অল্প থেকেও, যদি ভাবি নিজে ধনী
কিছুতেই হব না তো কারো কাছে ঋণী।


আমি মনে করি মন জীবনের মূল
মন যদি সাথে থাকে হবেনা তো ভুল।


তোমার জীবনে কী যে হবে দর্শন!
তুমিই তো করবে তার নির্ধারণ।


কেউ নয় নিঃস্ব, না কেউ নিঃসঙ্গ
জীবনটা মেনে নিলে সব কিছু রঙ্গ।


সুবীর সেনগুপ্ত