//কেন আদালত//


আদালতই দিতে পারে দৌলত
কাকে দেবে আর কেন দেবে, সেটা প্রশ্ন
যদি পেয়ে যাই এই প্রশ্নের উত্তর
বিব্রত করে তোলে আরো এক প্রশ্ন|


অনেক ধন কী আছে আদালতে!
তা যে নয়, সকলেই এই জ্ঞানে জ্ঞানী
তাহলে কী ভাবে দেবে দৌলত!
এই কবিতার আজ সেটাই কাহিনী|


সকলে কী যাই প্রতিদিন আদালতে!
যাই না, তবুও চেয়ে থাকি আদালত
চাওয়ার পিছনে আছেই কি বিবাদ!
বিবাদবিহীন আদালত খালি পাত!


জনতা গড়ে না কোনো আদালত
সরকার গড়ে তোলে জনতার তরে
আদালতে বিতর্কের হয় অবসান
রায় আসে, আরো এক বিতর্ক গড়ে|


সবাই রাখতে চায় নিজ অধিকার
অধিকারে দখল কী সহে নেওয়া যায়!
বিবাদের সূত্রপাত এখান থেকেই
বিবাদের নিষ্পত্তি আদালতে হয়|


ভুলের শিকার হতে হয় বহুবার
সহে নিতে হয় ভুল থেকে কিছু ক্ষতি
ভুল না মানলে, যেতে হয় আদালতে
মামলা করতে হয়, বাঁচাতেই ক্ষতি|


আদালত মানেই তো বিচারের স্থান
বিচারের পরে দেয় রায় ন্যায়াধীশ
আদালতে রায় পেয়ে যায় মান্যতা  
যার মুখে হাসি সেই জানায় কুর্ণিশ|


মামলায় জিতে যাওয়া মানেই তো ধন
জয় মানে উদ্ধার হলো অধিকার
অধিকার থেকে এলো প্রাপ্তি
এসে গেল প্রতিটি খরচ মামলার|


একটাই অসুবিধা, আদালতে গেলে
কবে যে বেরবে রায়, তার ঠিক নেই
আদালতে যাওয়া হলো ধৈর্য পরীক্ষা
অত্যন্ত জরুরী টিকে থাকাটাই|


শখ করে কেউ যায় নাকি আদালতে!
সকলের চাওয়া আদালত থেকে দূরে
আদালত হলো অপরাধীদের স্থান
সেখান থেকেই যাক-না কারাঘরে|


সুবীর সেনগুপ্ত