যে ধরণীর হওয়া জলে, হৃষ্ট পুষ্ট হয়ে
কেটে যায় মানব জীবন
তারই নাক কান কেটে, হেয় কেন করা হয়
সভ্য কি এই আচরণ!

মানব জীবন চায়, সব অতিরিক্ত
যদিও দেয় পর্যাপ্ত
তৃপ্তি সদাই কম, দূরেও রাখে নিয়ম
মানবজীবন কি অনিষ্ট!

গুরুত্ব কার বাসী, মানব না ধরণীর!
এ প্রশ্নে বিজ্ঞান জড়াবেই
সহজ ও সাধারণ, নয় মানুষের ধন
ঘুরে ফিরে জটিলতা আনবেই|

এই ধরণীর তলে, অফুরন্ত জঙ্গলে
যা দিয়েছে প্রকৃতি, অতুলনীয়
গর্ভেও ভরা আছে, অমূল্য সম্পদ
চিন্তার বাইরে, অকল্পনীয়|

বেঁচে কি থাকবে প্রাণ, প্রকৃতিবিহীন হয়ে!
বুঝেছি তা হবেনাও সম্ভব
প্রাণহীন ধরণীতে, প্রকৃতি তো হাসবেই
এটাই সুস্পষ্ট এক অনুভব|

যে থালাতে অন্ন, তা কি অযত্নে থাকে!
বিশাল এক থালা রূপে প্রকৃতি
কি যত্ন নেওয়া যাবে, ধরণীতে প্রকৃতির!
সেটা তো বন্ধ করা, প্রকৃতির ক্ষতি|

মানুষের লোভী মন, অনিষ্ট কোরে সাধন
তারপরে যেটা পায়, সব মেকী
প্রগতির রূপটা কি, ঢেকে রেখে প্রসাধনে
নকলেই ভরে থাকে, মনটা কি!

ভুবন মনমোহিনী, এ তো সকলেই মানি
সেটা প্রকৃতির অপরূপ ফল
ধরণী ক্রুদ্ধ হলে, রূপ যাবে রসাতলে
বিনাশের আগমন পল পল|

ধরণীতে প্রকৃতির কি যত্ন চাই চাই!