//বিষাদ এবং অবসাদের নিয়ন্ত্রণ//


সব অবসাদ করেছি বাক্স বন্দী
তাড়িয়ে দিয়েছি বিষাদ বহু দূরে
করতে পারিনি দুঃখকে আলাদা
তাই তো করেছি দুঃখের সাথে সন্ধি।


কখনো মানিনি জীবন মূল্যবান
শাসনে রাখতে পেরেছি আনন্দকে
সুখ সন্ধানে থাকতে চাইনি প্রতিদিন
নিজেই দিয়েছি নিজেকেই সন্মান।


আমার যে প্রাণ, ভাবিনি অতি বিশিষ্ট
ভাবতে পারি কী তুমিও ঠিক তাই!
মানুষের প্রাণ এখানে ওখানে সেখানে
কোথায় তফাৎ, সেটাই জানতে চাই।


তুমি আর আমি চাইছি না কিছু ভিন্ন
সুখ আনন্দ শান্তি শুধুই চাইছি
তার জন্য কী হতেই হবে বিশিষ্ট!
সাধারণ হয়ে এসব তো পেয়ে যাচ্ছি।


জীবন থাকলে, অবসাদ আসবেই
বিষাদ আসবে, তাতেও তো নেই ভুল
আসুক আসুক করে যাবো অবহেলা
বিষাদ পালাবে ছেড়ে দিয়ে এই কূল।


বিষাদের বিষ করব না আমি পান
এই এক পণ আমার নিজের বিধান
আমার বিধান কে আর বলো মানবে
কেউ না মানুক, আমি দিয়ে যাব মান।


যদি না থাকত বিষাদ কোনো জীবনে
তবে কী আসত কোনো অনুভবে আনন্দ!
কী যে হতো সেটা হলে পরে জানা যেত
হয়নি, তাইতো আনন্দে পাই ছন্দ।


প্রতি জীবনের চালক একটি মানুষ
কী ভাবে চালনা করবে জীবন, সে জানে
সে যদি না চায়, বিষাদ ঠেলবে দূরে
অবসাদে ডুবে দুঃখ নেওয়ার কী মানে!


সুবীর সেনগুপ্ত