তারাখসার মতো ভেজা জলের শরীর থেকে খসে পড়ে ঘ্রাণ
উজবুক পৃথিবী, অতঃপর চুইয়ে চুইয়ে এসে ছুঁয়ে দেয় কোনো
এক অঘ্রাণ, মর্ত্যের দানব-দানবী ওরা কেউ তাকিয়েও দেখে
না; আমি ভাবি একলা----শুধু একলা---
কী হয় ওতে?
জলের সমস্ত শরীরে এখন হাড়গিলা খুঁজলি-প্যাঁচরা-----!


হয়ত একদিন জলকানা ছিলাম, এখন রাতকানা—দিনকানা;
তবুও কি মিটে গেছে জলের তেষ্টা? তবুও কি হালে পানি
পেয়েছে নির্জীব কাঠের পুতুলের প্রচেষ্টা? আমি কোনো প্রশ্ন
রাখছি না বোদ্ধা পাঠক, কেবল অমূল্য, অতিমূল্য, সুলভ, দুর্লভ
জলের কথা বলছি!


এই কবিতা লিখতে লিখতেই আবারো জলের হানা! ধূমধাম
প্রসব করছে মেঘ---পূর্ণ বয়স্ক বাচ্চা! কোথায় নেই জলের
অভিধান, জল পতনের শব্দ, খসড়া জলের গান—ইত্যাদি;
কেউ কোনোদিন জানে না,
জানতেও চায় না, বোদ্ধা জলের খতিয়ান -------------!!