তুমি কি দেখেছো বিবস্ত্র সেই আকাশ!
জানি দেখনি; কারণ আকাশ তো নগ্নতা আপোষ করে না।
ঐ যে নীল রঙা আবীরে ছেয়ে আছে পুরোটা দেহ জুড়ে।
হয়ত ভাবছো আমি মিত্যে বলছি!
না; আমি একদম মিত্যে বলিনি।
তুমি তার নগ্নত্ব দেখতে পারো না!
দেখলে হয়ত মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে পড়বে সারাক্ষণ!
তাই তো সেই বস্ত্র রূপী ‘নীল আবীরে মাখা’ আকাশ।
কেও না দেখেই বলে আকাশ, কেও বলে নীলাকাশ।
অনুভব করেছো কি কখনো-
নীলাকাশের বিলিয়ে দেওয়া সেই দেহ?
যেখানে আজো সীমাহীনপ্রায়-
চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রাদি খেলা করে অবিরত!
অনুভব করেছো কি কখনো-
যে চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রাদি দেখে আমরা আপ্লুত হই,
মায়ার টানে জড়িয়ে পড়ি শোষিত সেই মায়ারাজ্যে,
কেন? কেনই বা এত কৌতুহল সেই সব শোষিত অজানায়।
সে আকর্ষক আর কেও নয়- “নীলাকাশ”!
তুমি হয়ত দেখবে না সেই নীলাকাশের নগ্নতা,
খুঁজবেনা নীল আবীরের পিছনে আকাশের মায়ার রহস্য।
তবু নীলাকাশ শোষিত সেই-
চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রাদি দেখে আপ্লুত হবে।
আসলে তারা সবাই ক্ষুধার্ত; প্রতিনিয়ত নীলাকাশের শোষক!
আর আমরাই তাদের পালিত করি; আমারাই তাদের পোষক।