*তখন সকাল ছ-টা সবেমাত্র লাল চা হাতে নিয়ে "লাল চা" কমিটিতে বসেছি রিংটোন বেজে উঠেছে হ্যালো বলার আগেই হতাশা ও কাকতি মিনতি স্বরে বলেই যাচ্ছেন - " দাদা আমি রায়হান সেখ, আনিসুর রহমান সাহেবের ইস্কুলের শিক্ষক, আমার স্ত্রীকে বাঁচান, খুব বিপদে পড়েছি, পেটে বাচ্চা আছে, অপেরেশন করতে হবে, *বি নেগেটিভ রক্ত লাগবে, কাল থেকে অনেকে ফোন করেও কোন ব্যবস্তা হয়নি, দয়া করে আমার স্ত্রীকে বাঁচান "
অনেক দুঃখের কথা শোনার পরেও খুব রাগ হলো জানেন তো - 19 তারিখ নিয়ে আমি এমনিতেই রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারিনা, তার উপরে অজানা অচেনা লোক, সবচেয়ে বড়ো কথা হলো নেগেটিভ রক্ত বাপরে ! এই যা গরম, কেউ বা কথা রাখবে।
কিন্তু অনবরত ফোন আসাতে বুঝতে পারলাম, মা, মাটির সরকার মানুষ কে বিপদে ফেলেছে ; আর দেরী না করে মূহূর্তের মধ্যে লাল চা কমিটির অন্যতম সদস্য রামিজ রাজা কে ফোন দিলাম, " সে বললো 10 টা মুনিস আছে দেখভাল করতে হবে, তাছাড়া বৃষ্টি হলে বছরের ধান শেষ হয়ে যাবে "
ভাবলাম কথাটা ফেলার না, তাছাড়া জমিদারের একমাত্র ছেলে চাপ দিয়েও লাভ নেই। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস - রামিজ নিজেই ফোন করে জানাচ্ছে "শুনে মন খারাপ করছে আমি গাড়ি বের করছি তুমি সঙ্গে যাবে, রেডি হও "
বহরমপুর মেডিক্যাল হসপিটালে পৌঁছে দেখি রায়হান সাহেবের শুষ্ক মুখ, হতাশার বুক,  তার পর রক্তদিয়ে রামিজ যখন বেরুলো তার পরে ফুলের সৌরভে ভরা জীবন এ জীবনের কোন মৃত্যু নেই,
এক অনাবিল আনন্দ, অনন্ত জীবনে। অসমাপ্ত পাপ্তি জীবন্তি লাল চা কমিটির