যখন শৈশব ছিল, তারুণ্য ছিল কল্পনার রথ
যৌবন ছিল স্বপ্নিল উড়ন্ত পাখির শপথ
শৈশব আজ অতিক্রান্ত বিগত অতীত;
যৌবন আজ বিগত; বার্র্ধক্য দুয়ারে অতিথ।।  


শৈশব ছিল দুরন্ত, মাঠে ছুটাছুটি গোল্লাছুট;
হাডুডু, দাড়িয়াবাঁধা, ক্রিকেট আর ফুটবলের বুট
তারুণ্যে, কর্ণফুলি আর বঙ্গোপসাগরে অবাধ্য সাঁতার;
যৌবনে লুকিয়ে কবিতায় ভালোবাসা প্রেমের পাথার।।  


শৈশবে, যখন ঘরে ফেরা ছিল বাধ্যতামূলক
বাড়ি না ফেরার বাসনা ছিল অপ্রতিরোধ্য ঢোলক  
না ফিরতে পারা ছিল আনন্দের, বড়োই আনন্দের পুলক;
আজ স্বাধীনতা আছে, বাড়ি না ফেরা ইচ্ছেমাফিক  
তাও নীড়ে ফেরার ব্যাকুলতা সীমাহীন সামাজিক।।


শৈশবে মা-বাবার কোলে উঠার আকাঙ্খায় মন ছিল রঙ্গিন
তারুণ্যে মা খাওয়া নিয়ে নিশিরাত অপেক্ষায় প্রবীণ
যৌবনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা
বাইরে খাওয়া নিয়ে কেটে যাওয়া আনন্দের দিন;
বার্ধক্যে আজ মায়ের হাতের রান্না আর অপেক্ষা বিলীন  
স্বপনের কল্পনা, কোথায় প্রকাশিব সেই হৃদয়ের ঋণ।।  


স্কুলে যে বন্ধুদের সাথে বিবাদ বিসম্বাদ আড়ি ছিল নিয়মিত
আজ ফেইসবুকে সেই বন্ধুদের খুঁজে বেড়াই অবিরত;
কিসে খুশি আর আনন্দ আসে তা বুঝেছি আজরে    
শৈশব কি ছিল তার উপলব্ধি হয়েছে পাঁজরে    
হায়রে! যদি শৈশব আবার ফিরে আসত সজোরে  
জীবন আনন্দে পরিপুর্ন হত, বইত সুখের রাজ অঝোরে ।।  


সত্যি বলছি,
শৈশবে একটা সময় ছিল যখন বইত কল্পনার দ্বৈরথ    
ভাবতাম কেন যে বড় হয়ে যাইনা দ্রুত দৈবত  
আজ ভাবি কেন যে বড় হয়েছিলাম কৈবত;
যখন শৈশব ছিল, যৌবন ছিল স্বপ্নীল পুরোহিত
শৈশব আজ অতিক্রান্ত বিগত অতীত;
যৌবন আজ বিগত, বার্র্ধক্য দুয়ারে অতিথ।।