তালপাতার ছাউনি মোড়ানো,
আমার কুঁড়েঘর।
হালকা বাতাসেও দোল খায়।
পাটখড়ি আর ছন দিয়ে বাঁধানো বেড়া
মড়মড় করে  ভেঙে চৌচির হয়।
সকালের সোনালী রোদের
মিষ্টি আবেশে ঘুম ভাঙে।
পান্তাতে নোনালবণে পোড়ামরিচ
মেখে সকালের আহার।
লাঙল-জোয়াল নিয়ে
হালের বলদ সাথে।
মাঠের .... দূর দূরান্তে।
দুপুরের ঝাঁঝালো রোদে পুড়ে অর্ধ-আহার,
অনাহারে বুনি সোনার ফসল।
আপলক দৃষ্টিতে ফসলের মাঠে মাঠে।
গোধূলি বিকেলে সাদা বকের
পালে রবির দিবা অবসান।
গো-বলদ নিয়ে নীড়ে ফিরে
মোয়াজ্জেনের আজানের ধ্বনি
সু-মহান, আল্লাহু আকবার,
মাগরিবের নামাজের জামাতে।
সন্ধ্যার ধূসর প্রদীপের আলোতে
হারায়  উজ্জ্বল দিবালোক।
ক্ষণেক্ষণে রাত দীর্ঘ হয়,
আঁধারে হারায় নীরবতা
নির্জনে চাঁদের আলো,
পৌঁছে যায়  কুঁড়েঘর জুড়ে।
এলোমেলো বাতাসে
উড়ে উড়ে নির্বাক করে
দিয়ে বৃষ্টির জলরাশি।
কুঁড়েঘর আর আমি নির্মম দর্শনার্থী ।