হাতে এলে আয় ওঠে তার বাই কি করি কি যে করি
সব পানে যায় বুক ধড়কায় যতক্ষণ না শেষ হয় কড়ি l
বাবা যবে গেল হাতে তার এলো কড়কড়ে কিছু টাকা
সোয়াস্তি নাই মনে খরচে কেমনে মন তার ফাঁকা ফাঁকা l
হেথা হোথা যায় কত সে তাকায় সুযোগ নাহি দেয় ধরা
কিছু নাহি ঘটে মন সঙ্কটে কেমনে যে হবে টাকা ওড়া l
অপচয়ে রাশি মন হবে খুশি চ্যালেঞ্জটা যুতসই হবে
টাকাগুলো যাবে তার হাবেভাবে নবাবির রং লেগে রবে l


আচমকা পায়ে যায় লটকায়ে ভারি কিছু ধরনের তার-টা
জোরে টান মারে পা-টা যদি ছাড়ে ছিঁড়ে যায় জুতোটা l
পা টি নিয়ে চলে মুচি এক মেলে জুতোটার হয় চর্চা
মন খুশি খুশি এবারেতে তবে করা যাবে কিছু খরচা l
কিন্তু সে জুতো খেয়ে গুঁতো প্রাণ একেবারে জেরবার
মুচি বলে চলে কৌশলে জুতো সারাাবার কি দরকার l
প্রাণ নাই জানে জুতো ধরে টানে ছিঁড়ে যায় তার চামড়া
বিবর্ণ যেন কোথা নাই হেন এত বাজে এরকম জামড়া l


আছে তার ছেলে মুচি বলে চলে দিয়েছে নতুন দোকান
রকমারি জুতো নতুন ফ্যাশান যেমন চায় তার প্রান l
পাড়ার এই মোড়ে একটুকু দূরে দোকান রঙচঙা সাজে
বড়ো ছোট সব কিনে নেয় জুতো প্রয়োজনে নানা কাজে l
বহু জুতো আছে তার ছেলের কাছে রাজা প্রজা সব কেনে
রকমারি জুতো ফ্যাশনের সুতো দোকানে রেখেছে এনে l
এইবার তবে তার মনে ধরে পাওয়া গেছে কিছু একটা
এ জীবন মাটি খড় কুটো আঁটি রয়ে গেছে অবশেষ টা l


ভাবিছে মাধাই চোখে ভেসে যায় হইবে জগৎ জব্দ
জুতো শত শত রাজা পড়ে যত তার পায়ে তোলে শব্দ l
জীবনখানি ধরে হেঁট নত শিরে সহিয়া গিয়াছে তর্জন
আজ এইবারে হিসাব লইবারে তোলে তার জুতা গর্জন l
মাথা যেথা হারে পা যুগলে পারে জুতাটি করিয়া জুটি
টাকা কারে কয় কিছুই তো নয় জুতা-রবে জগৎকে লুটি l
জীবনটা ধরে সেবা গেল করে পায় নাই সম্মান
পদানত হয়ে ভার শুধু বয়ে স্বাধীনতা খান খান l


জুতো যত সবে রাজা প্রজা পড়ে সব নিবে তার পায়
পদানত করে জুতো সবাকার সম্মান হবে আয় l
গর্বিত ভাবে উদ্ধত চালে চলে সে দোকান পানে
টাকা খরচের এ সুযোগ পেয়ে খুশি আসে মনে প্রাণে l