এতোদিন আমি সব সময় সবকিছু সোজা চোখে দেখতাম
একহারা গড়নের দেবদারুর মতো, সবকিছু যেনো পারুর
মতো সর্বাঙ্গীণ চারু!
একদিন পারুও এমন ছিলো নক্ষত্র খচিত শীতের আকাশ
আমার শহরের মতো ছায়াপথ ধরে সে হেঁটে যেতো বাড়ি
আমিও তার পায়ে পায়ে সারারাত দিতাম দরিয়া পাড়ি!


আমার শহরটি ক্ষুদ্র হলেও তার মন ব্রহ্মপুত্রের মতোই বড়
সে সত্যিকে সত্যি বলতে শিখেছিলো
সে মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে শিখেছিলো
এখন সবকিছুই আমার নদীমাতার মতো অদ্ভুত পাল্টে গেছে
পাল্টে গেছে কবিতার মতো শুদ্ধ শিশু
পাল্টে গেছে কিশোর থেকে যুবা, যুবা থেকে বৃদ্ধা
পাল্টে গেছে চিরহরিৎ পোশাক, বিষকাঁটালির মায়াবি ঝোপ
আমার নগরের বাতাস ভারি করে তুলেছে কবুতরের খোপ!


কতোবার ভাবি আমিও ক্রমান্নয়ে পাল্টে যাবো শিরা-উপশিরা
মুছে দেবো বারো ভুঁইয়ার রক্তের দাগ
মিথ্যার দাপুটে চলায় রুমালে মুছে নেবো সত্যের রাগ
বরষার জলদ বাতাসে আত্মতুষ্টি নেবো পরিবর্তিত চোখ
জলের প্রহারে সবকিছু ভুলে যাবো, ভুলে যাবো পারুর মুখ
অতঃপর আমার আর নিজের বলতে কোনোকিছু থাকবে না
আমি সবকিছু ভুলে যাবো ইতিবৃত্ত---------
অথবা
নিঃশব্দ করাত কলে ছেঁটে নেবো এ সমাজের বাড়ন্ত দুর্বৃত্ত!!