আমার সমস্ত জীবন যায় নাটকীয় ভাবে হেলায়-অবহেলায়
তবুও আমি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি, সবকিছু অবলীলায় ভুলি
আমি যেনো কোনো এক শিরোনামহীন অরণ্যের বেভুলা ফুল
আমি রোজ রোজ ফুঁটি, লাল ঝুঁটি শালিকের ঝুঁটি দেখি
আমি কেবল সকলের স্বরলিপি চিনে রাখি, হয় হউক ভুল!


লোকান্তরে আমি একদিন তুলে নেবো মাকুরের শব্দ, আমিও
হবো অবিনাশী ঢেউ; কিনে নেবো সমস্ত দোয়েল পাখির শিস,
আমার সঙ্গী হবে কেউ? আমার আঙিনায় নৌকার পাল
পতপত করে উড়বে, যতোটুকু ভূভাগ আমার দু’চোখে পড়বে;
এ মাটির সুরভি অঙ্গে মেখে সবাই হবে বীর্যবান পৌরুষ!!

একদিন যেখানে –সেখানে পাগলা ঘণ্টা বাজাবে আমার
শরীরের কোষ, ওই নারী তখনও কি দেবে আমাকেই দোষ?
অনুচ্চারিত স্বরবর্ণের মতো এভাবেই চলবে আমার অভিসার
আমি স্বামী নই
আমি বাবা নই
মনে রেখো, তখন আমি কেবল-ই পুরুষ!!
তখন যদি করপুটে আহ্বান করো নেশার সুরভি, রক্তে বিষের
পেয়ালা ঢেলে তুমিও সাজো কোনো এক ভৈরবী; তখন ভেবে
দেখো কে দেবে তোমায় শক্তি? আমি হাঙর ধর্ম বিসর্জন দিয়ে
বুঝে নিবো তোমার মর্ম, ও নারী সেখানেই আছে তোমার মুক্তি;
অবহেলার কুন্তল দিয়ে আর কতো ঢেকে রাখবে নগ্নযোনি পথ
দেখো, শিয়রের কাছে বৃক্ষ দোলায় শেকড়ের আজন্ম শপথ!!